আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা করুন

দেশে গৃহহীন কোন মানুষ থাকবে না এটা সরকারের অঙ্গীকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্নস্থানে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রায়ই অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে অনিয়মের খবর মিলেছে।

গত শনিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। ঘর তৈরির কাজ শেষ হয়নি। অথচ এখনই দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকাও নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় বিভিন্ন সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। তবে তাতে সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হয়েছে বলে মনে হয় না। নইলে ঘর নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করার কথা নয়। এর আগে প্রকল্পের অনেক ঘরই নির্মাণের কিছুদিন পরেই ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

আবার কোথাও কোথাও নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙে পড়েছে প্রকল্পের ঘর। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে ঘরগুলো ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। পরিমাণমতো সিমেন্ট না দেয়ায় দেয়াল ধসে পড়া, পলেস্তারা মজবুত না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

এখানেই অনিয়মের শেষ নয়। প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ওঠে বিভিন্ন সময়। ঘর পেতে উপকারভোগীদের ঘুষ দিতে হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের একটি ভালো উদ্যোগ দুর্নীতিবাজদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। মহেশখালীসহ দেশের আর যেসব স্থানে ঘর নির্মাণ বা বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আমরা এই নীতির কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা করুন

দেশে গৃহহীন কোন মানুষ থাকবে না এটা সরকারের অঙ্গীকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্নস্থানে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রায়ই অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে অনিয়মের খবর মিলেছে।

গত শনিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। ঘর তৈরির কাজ শেষ হয়নি। অথচ এখনই দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকাও নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় বিভিন্ন সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। তবে তাতে সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হয়েছে বলে মনে হয় না। নইলে ঘর নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করার কথা নয়। এর আগে প্রকল্পের অনেক ঘরই নির্মাণের কিছুদিন পরেই ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

আবার কোথাও কোথাও নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙে পড়েছে প্রকল্পের ঘর। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে ঘরগুলো ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। পরিমাণমতো সিমেন্ট না দেয়ায় দেয়াল ধসে পড়া, পলেস্তারা মজবুত না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

এখানেই অনিয়মের শেষ নয়। প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ওঠে বিভিন্ন সময়। ঘর পেতে উপকারভোগীদের ঘুষ দিতে হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের একটি ভালো উদ্যোগ দুর্নীতিবাজদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। মহেশখালীসহ দেশের আর যেসব স্থানে ঘর নির্মাণ বা বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আমরা এই নীতির কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।