১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৪ কোটি ডলার

দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৪ কোটি ডলার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৭ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। গড়ে প্রতিদিন ৭৯২ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। গত ডিসেম্বরে দশ দিনে রেমিট্যান্স ৫৬ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৬ হাজার মতো। ডিসেম্বরের ১০ দিনের তুলনাই জানুয়ারির দশ দিনে ১ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা যায় এ তথ্য। এছাড়া গত নভেম্বর মাসের চেয়েও সাড়ে ১০ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ডিসেম্বরে। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার (প্র?তি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা), যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।

একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রেমিট্যান্স দেশে আনতে প্রণোদনা সুবিধা বাড়িয়েছে সরকার। এখন প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা তার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৬ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার বেশি এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ডিসেম্বরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ কোটি ১০ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ , ২৮ পৌষ ১৪২৯, ১৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৪ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৪ কোটি ডলার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৭ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। গড়ে প্রতিদিন ৭৯২ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। গত ডিসেম্বরে দশ দিনে রেমিট্যান্স ৫৬ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৬ হাজার মতো। ডিসেম্বরের ১০ দিনের তুলনাই জানুয়ারির দশ দিনে ১ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা যায় এ তথ্য। এছাড়া গত নভেম্বর মাসের চেয়েও সাড়ে ১০ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ডিসেম্বরে। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার (প্র?তি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা), যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।

একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ কারণে রেমিট্যান্স বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রেমিট্যান্স দেশে আনতে প্রণোদনা সুবিধা বাড়িয়েছে সরকার। এখন প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা তার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৬ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ২৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার বেশি এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ডিসেম্বরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ কোটি ১০ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।