গভীর নলকূপ অপারেটরের নানা দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচার পরিবর্তন দাবি
নওগাঁর মান্দায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী কৃষকেরা। উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর (শাহানাপাড়া) গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটর পারুল বেগম এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম, ছেলে পারভেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ওই অপারেটর পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। স্থানীয়রা জানান, গভীর নলকূপটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ নলকূপের অধীনে গোবিন্দপুর এবং বাঙ্গালপাড়া গ্রামের প্রায় ১২০-১৩০জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হয়। গভীর নলকূপটি স্থাপনের পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ওই গ্রামেরই রেজাউল ইসলামের ছেলে পারভেজ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অত্র স্কীমের কৃষকদের না জানিয়ে তার মায়ের নামে অপারেটর নিয়োগ করে নেন।
স্থানীয় কৃষক মোশারফ হোসেন, রহমতুল্লাহ, রিয়াজ উদ্দীন, আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার, মাওঃ দারাজ উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইদ্রিস আলীসহ অনেকে জানান, অপরেটর পারুলের ছেলে পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম ২০১৯-২০ সালে বোরো মৌসুমে বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করেন এবং ধান ক্ষেতে ঠিকমত পানি না দেয়ার কারনে তাদের অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আগে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মন ধান পেলেও পারভেজদের পরিবার থেকে অপারেটর নিয়োগ দেয়ার পর থেকে ১০-১৫ মন ধান উৎপাদিত হয়েছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেন, অপারেটর পারুলের ছেলে কথিত সাংবাদিক পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম গত ২০২২ সালে পূর্বের কমিটিকে উপেক্ষা করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজেদের মতো একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে জোরপূর্বকভাবে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা করে আদায় করেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএমডিএ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত সাপেক্ষে ২০২৩ সালের বোরো মৌসুমের সেচ কমিটি গঠন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অথচ তিনি ওইদিন ঘটনাস্থলে না আসার কারণে অপারেটরের ছেলে পারভেজ তার পেশি শক্তির জোরে পূনরায় একটি মনগড়া কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান তারা। গভীর নলকূপ অপারেটর পারুলের ছেলে পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
মান্দা উপজেলা বিএমডিএ কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে সম্মিলিতভাবে কমিটি গঠনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
গভীর নলকূপ অপারেটরের নানা দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচার পরিবর্তন দাবি
জেলা বার্তা পরিবেশক, নওগাঁ
নওগাঁর মান্দায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটর পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী কৃষকেরা। উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর (শাহানাপাড়া) গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটর পারুল বেগম এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম, ছেলে পারভেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ওই অপারেটর পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। স্থানীয়রা জানান, গভীর নলকূপটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ নলকূপের অধীনে গোবিন্দপুর এবং বাঙ্গালপাড়া গ্রামের প্রায় ১২০-১৩০জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হয়। গভীর নলকূপটি স্থাপনের পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ওই গ্রামেরই রেজাউল ইসলামের ছেলে পারভেজ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অত্র স্কীমের কৃষকদের না জানিয়ে তার মায়ের নামে অপারেটর নিয়োগ করে নেন।
স্থানীয় কৃষক মোশারফ হোসেন, রহমতুল্লাহ, রিয়াজ উদ্দীন, আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার, মাওঃ দারাজ উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইদ্রিস আলীসহ অনেকে জানান, অপরেটর পারুলের ছেলে পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম ২০১৯-২০ সালে বোরো মৌসুমে বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করেন এবং ধান ক্ষেতে ঠিকমত পানি না দেয়ার কারনে তাদের অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আগে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মন ধান পেলেও পারভেজদের পরিবার থেকে অপারেটর নিয়োগ দেয়ার পর থেকে ১০-১৫ মন ধান উৎপাদিত হয়েছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেন, অপারেটর পারুলের ছেলে কথিত সাংবাদিক পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম গত ২০২২ সালে পূর্বের কমিটিকে উপেক্ষা করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজেদের মতো একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে জোরপূর্বকভাবে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা করে আদায় করেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএমডিএ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত সাপেক্ষে ২০২৩ সালের বোরো মৌসুমের সেচ কমিটি গঠন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। অথচ তিনি ওইদিন ঘটনাস্থলে না আসার কারণে অপারেটরের ছেলে পারভেজ তার পেশি শক্তির জোরে পূনরায় একটি মনগড়া কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান তারা। গভীর নলকূপ অপারেটর পারুলের ছেলে পারভেজ এবং তার স্বামী রেজাউল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
মান্দা উপজেলা বিএমডিএ কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে সম্মিলিতভাবে কমিটি গঠনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।