তরুণ-তরুণীর একসঙ্গে বিষপান তরুণীর মৃত্যু

নাটোরের গুরুদাসপুরে একসঙ্গে প্রেমিক-প্রেমিকার বিষপান করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকা রুপা খাতুনের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। প্রেমিক ইমন হোসেনকে (১৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মৃত রুপা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ইমন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মৃত সেলিম হোসেনের ছেলে। ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে রুপা ও ইমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত রোববার কুমিল্লা থেকে প্রেমিকার বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবার ছাড়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। পরে ইমন তার পরিবারের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়। এরপরে সোমবার দুপুরের দিকে রুপার পরিবারের লোকজন মাঠে কাজে গেলে বাড়ির পাশের নদীর ধারে গিয়ে রুপা ও ইমন বিষপান করে। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শামিমা আফরোজ বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই প্রেমিক-প্রেমিকাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে মেয়েটি পয়জন ওয়াস করতে দিচ্ছিল না। পরিবারও সহযোগিতামূলক আচরণ করেনি। পরে সবাই বোঝানোতে পয়জন ওয়াস করতে দেয় কিন্তু একটু দেরি হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেয়েটা মারা যায়। আর ছেলেটার পয়জন ওয়াস করা হলেও সে অস্থির ছিলো। তাই তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমনকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

তরুণ-তরুণীর একসঙ্গে বিষপান তরুণীর মৃত্যু

প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর (নাটোর)

নাটোরের গুরুদাসপুরে একসঙ্গে প্রেমিক-প্রেমিকার বিষপান করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকা রুপা খাতুনের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। প্রেমিক ইমন হোসেনকে (১৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মৃত রুপা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ইমন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মৃত সেলিম হোসেনের ছেলে। ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে রুপা ও ইমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত রোববার কুমিল্লা থেকে প্রেমিকার বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবার ছাড়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। পরে ইমন তার পরিবারের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়। এরপরে সোমবার দুপুরের দিকে রুপার পরিবারের লোকজন মাঠে কাজে গেলে বাড়ির পাশের নদীর ধারে গিয়ে রুপা ও ইমন বিষপান করে। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শামিমা আফরোজ বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই প্রেমিক-প্রেমিকাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে মেয়েটি পয়জন ওয়াস করতে দিচ্ছিল না। পরিবারও সহযোগিতামূলক আচরণ করেনি। পরে সবাই বোঝানোতে পয়জন ওয়াস করতে দেয় কিন্তু একটু দেরি হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেয়েটা মারা যায়। আর ছেলেটার পয়জন ওয়াস করা হলেও সে অস্থির ছিলো। তাই তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমনকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।