এলজিইডির প্রকৌশলীর ওপর সশস্ত্র হামলা

বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর-বিলনোথার সড়কে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়। হামলার শিকার ওই প্রকৌশলীর নাম মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান। তাই সোমবার নবনির্মিত ব্রিজ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান তিনি। একপর্যায়ে অফিসে ফেরার পথে তিনজন সশস্ত্র মুখোশধারী অতর্কিতভাবে এসে তার ওপর হামলে পড়ে। এমনকি বেধড়ক মারধর করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।

এই হামলার ঘটনায় ঠিকাদারের লোকজন জড়িত থাকতে পারে মন্তব্য করে প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিগত এক সপ্তাহ আগে ওই ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের বাকবিতন্ডা হয়। সেইসঙ্গে ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমাণের কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন তিনি। এতে করে ওই প্রকৌশলীর ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এরই জের ধরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে ঠিকাদার খোবাইব হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার কোনো লোক জড়িত নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহিৃতকরণসহ গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

এলজিইডির প্রকৌশলীর ওপর সশস্ত্র হামলা

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর-বিলনোথার সড়কে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়। হামলার শিকার ওই প্রকৌশলীর নাম মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান। তাই সোমবার নবনির্মিত ব্রিজ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান তিনি। একপর্যায়ে অফিসে ফেরার পথে তিনজন সশস্ত্র মুখোশধারী অতর্কিতভাবে এসে তার ওপর হামলে পড়ে। এমনকি বেধড়ক মারধর করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।

এই হামলার ঘটনায় ঠিকাদারের লোকজন জড়িত থাকতে পারে মন্তব্য করে প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিগত এক সপ্তাহ আগে ওই ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের বাকবিতন্ডা হয়। সেইসঙ্গে ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমাণের কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন তিনি। এতে করে ওই প্রকৌশলীর ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এরই জের ধরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে ঠিকাদার খোবাইব হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার কোনো লোক জড়িত নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহিৃতকরণসহ গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।