ধানখালী ওয়ার্ড বিভক্ত না করার দাবিতে বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ধানখালী। পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তার সামনে প্রকাশ্যে ধানখালীর ওয়ার্ড বিভক্ত না করে সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। সোমবার দিনভর ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্বাচন ও ওয়ার্ড বিভক্তি নিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ পুলিশ প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ করে। পরে কলাপাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা গ্রামবাসীর বক্তব্য শুনে সঠিক সমাধানের আশ্বাসে শান্ত হয় উত্তেজনা। সম্প্রতি ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে কোন মানুষের বসবাস নেই এবং ভোট কেন্দ্রের অস্তিত্ব¡ নেই দাবি করে ওয়ার্ড বিভক্তির আবেদন করেন। একই আবেদনে আরও তিনটি ওয়ার্ড বিলুপ্তি পথে বলে উপজেলা পরিষদের মানিক সভায় জানান। হঠাৎ করে চেয়ারম্যানের এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত এক মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধানখালীর মানুষ। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দলমত নির্বিশেষে ধানখালীর মানুষ জেলা প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আবেদনে ওয়ার্ড বিভক্ত না করে সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে। ধানখালী আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাজাদা পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে হাজার হাজার মান্ষু। অথচ তাদের অস্থিত্ব নেই বলে চেয়ারম্যান আবেদন করেছেন। তিনটি গ্রামকে কাগজপত্রে জনশূণ্য বানিয়েছেন চেয়ারম্যান। অথচ সেখানে এখনও হাজারো পরিবার বসবাস করে। যদি তিন গ্রামে মানুষই না থাকতো তাহলে এবারও নতুন ভোটার তালিকায় ভোটার বাড়লো কিভাবে জানতে চান। একই সাথে এ তিনটি গ্রামে সরকার সামাজিক নিরাপত্তার যে সুবিধা দিচ্ছে মানুষ না থাকলে তা পাচ্ছে কারা প্রশ্ন করেন। তার অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য। গ্রামবাসী বলেন, জমি অধিগ্রহণের কারনে কিছু ভোটার অন্য ওয়ার্ডের আবাসনে গেলেও ভোটার পরিবর্তন হয়নি বরং তিনটি ওয়ার্ডে ভোটার বেড়েছে। এখনও কৃষকরা মাঠে ফষল ফলাচ্ছে। তাহলে তিনটি গ্রাম জনশূণ্য হলো কিভাবে ? তারা বলেন, যেসব ভোটার স্থানান্তর হয়েছে তারা নতুন ভোটার তালিকায় সমন্বয় করলেই সঠিক সময়ে নির্বাচন সম্ভব। ধানখালী চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার ইচ্ছা তার নেই। ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে তিন হাজার ১৭৫ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। এসব গ্রামের মানুষ অন্যত্র বসবাস শুরু করায় ওয়ার্ড বিভক্তির আবেদন করেছেন। বরং তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে উস্কে দেয়া হচ্ছে। তিনিও চান সঠিক সময়ে নির্বাচন হোক। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল ধানখালী এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট প্রদান করবেন।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ধানখালী ওয়ার্ড বিভক্ত না করার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, কলাপাড় (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ধানখালী। পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তার সামনে প্রকাশ্যে ধানখালীর ওয়ার্ড বিভক্ত না করে সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। সোমবার দিনভর ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নির্বাচন ও ওয়ার্ড বিভক্তি নিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ পুলিশ প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ করে। পরে কলাপাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা গ্রামবাসীর বক্তব্য শুনে সঠিক সমাধানের আশ্বাসে শান্ত হয় উত্তেজনা। সম্প্রতি ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে কোন মানুষের বসবাস নেই এবং ভোট কেন্দ্রের অস্তিত্ব¡ নেই দাবি করে ওয়ার্ড বিভক্তির আবেদন করেন। একই আবেদনে আরও তিনটি ওয়ার্ড বিলুপ্তি পথে বলে উপজেলা পরিষদের মানিক সভায় জানান। হঠাৎ করে চেয়ারম্যানের এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত এক মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধানখালীর মানুষ। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দলমত নির্বিশেষে ধানখালীর মানুষ জেলা প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আবেদনে ওয়ার্ড বিভক্ত না করে সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে। ধানখালী আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাজাদা পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছে হাজার হাজার মান্ষু। অথচ তাদের অস্থিত্ব নেই বলে চেয়ারম্যান আবেদন করেছেন। তিনটি গ্রামকে কাগজপত্রে জনশূণ্য বানিয়েছেন চেয়ারম্যান। অথচ সেখানে এখনও হাজারো পরিবার বসবাস করে। যদি তিন গ্রামে মানুষই না থাকতো তাহলে এবারও নতুন ভোটার তালিকায় ভোটার বাড়লো কিভাবে জানতে চান। একই সাথে এ তিনটি গ্রামে সরকার সামাজিক নিরাপত্তার যে সুবিধা দিচ্ছে মানুষ না থাকলে তা পাচ্ছে কারা প্রশ্ন করেন। তার অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য। গ্রামবাসী বলেন, জমি অধিগ্রহণের কারনে কিছু ভোটার অন্য ওয়ার্ডের আবাসনে গেলেও ভোটার পরিবর্তন হয়নি বরং তিনটি ওয়ার্ডে ভোটার বেড়েছে। এখনও কৃষকরা মাঠে ফষল ফলাচ্ছে। তাহলে তিনটি গ্রাম জনশূণ্য হলো কিভাবে ? তারা বলেন, যেসব ভোটার স্থানান্তর হয়েছে তারা নতুন ভোটার তালিকায় সমন্বয় করলেই সঠিক সময়ে নির্বাচন সম্ভব। ধানখালী চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার ইচ্ছা তার নেই। ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে তিন হাজার ১৭৫ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। এসব গ্রামের মানুষ অন্যত্র বসবাস শুরু করায় ওয়ার্ড বিভক্তির আবেদন করেছেন। বরং তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে উস্কে দেয়া হচ্ছে। তিনিও চান সঠিক সময়ে নির্বাচন হোক। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল ধানখালী এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট প্রদান করবেন।