দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনা উসকানিতে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, বিরোধী মত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রী, নেতারা হরহামেশাই বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। তাদের এই বয়ান সর্বৈব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য, সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণআন্দোলনে ভীত হয়ে দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উসকানি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তা-ব সৃষ্টি করছে।
ক্ষমতাসীনরা সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি সরকার করছে। বিরোধীমত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার।
প্রিন্সের দাবি, গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। বেধড়ক লাঠিচার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ প- করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। সীতাকু-ে সমাবেশস্থল উপজেলা বিএনপির সদস্য-সচিব গাজী সুজাউদ্দিনের মালিকানাধীন মুন স্টার কনভেনশন হলে আওয়ামী সন্ত্রসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদরে বিএনপির মিছিল চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে হারুন পার্কের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হামলায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, অচিন্তপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল মারাত্মক আহত হন। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তানজিল চৌধুরী লিলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান সোহেলকেও আহত করে। একইভাবে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা, ধামরাই উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি বহরে হামলা করে।
প্রিন্স বলেন, আমরা এই হামলা, গ্রেপ্তার, গুলি, মামলা, দমন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আদুুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনা উসকানিতে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ, আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, বিরোধী মত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রী, নেতারা হরহামেশাই বলেন, দেশে সবার রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। বিদেশিদের সামনে তারা বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সরকার নাকি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। তাদের এই বয়ান সর্বৈব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য, সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গণআন্দোলনে ভীত হয়ে দমন নিপীড়ন চালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উসকানি-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তা-ব সৃষ্টি করছে।
ক্ষমতাসীনরা সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি সরকার করছে। বিরোধীমত দমনে ক্ষমতাসীনরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার।
প্রিন্সের দাবি, গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল পূর্ব সমাবেশ চলাকালে বিনা উসকানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। বেধড়ক লাঠিচার্জ, গুলি, সাউন্ড বোমার হামলায় সমাবেশ প- করে দেয়। পুলিশের এই সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে। সীতাকু-ে সমাবেশস্থল উপজেলা বিএনপির সদস্য-সচিব গাজী সুজাউদ্দিনের মালিকানাধীন মুন স্টার কনভেনশন হলে আওয়ামী সন্ত্রসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর সদরে বিএনপির মিছিল চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে হারুন পার্কের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হামলায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, অচিন্তপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল মারাত্মক আহত হন। ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তানজিল চৌধুরী লিলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান সোহেলকেও আহত করে। একইভাবে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা, ধামরাই উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি বহরে হামলা করে।
প্রিন্স বলেন, আমরা এই হামলা, গ্রেপ্তার, গুলি, মামলা, দমন নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আদুুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।