৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ব্যাংক থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া টেন্ডার কার্যাদেশের বিপরীতে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক গণমাধ্যমে জানান, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পোর্ট কানেকটিং রোডের টেন্ডার কার্যক্রমে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাপ্ত কার্যাদেশের বিপরীতে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী কাজ শেষ না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি সাধনের তথ্য পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে।

পরে ২০২২ সালের ১০ মে জাকির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক দুটি মামলা দায়ের করে। মামলা দুটির তদন্তকালে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসভবন থেকে গতআল গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

দুদক জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের কার্যাদেশ পান। তার বিপরীতে ইউসিবিএল ব্যাংকের কুমিল্লা শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু কাজের বিপরীতে প্রাপ্ত বিলের চেক নগদায়ন করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের কাজটি অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়ায় জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ব্যাংক থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়া টেন্ডার কার্যাদেশের বিপরীতে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক গণমাধ্যমে জানান, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পোর্ট কানেকটিং রোডের টেন্ডার কার্যক্রমে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাপ্ত কার্যাদেশের বিপরীতে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী কাজ শেষ না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি সাধনের তথ্য পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে।

পরে ২০২২ সালের ১০ মে জাকির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক দুটি মামলা দায়ের করে। মামলা দুটির তদন্তকালে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসভবন থেকে গতআল গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

দুদক জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের কার্যাদেশ পান। তার বিপরীতে ইউসিবিএল ব্যাংকের কুমিল্লা শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু কাজের বিপরীতে প্রাপ্ত বিলের চেক নগদায়ন করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের কাজটি অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়ায় জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।