মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যারা শেয়ার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুদের সমবেদনা দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে উভয়ই অতিমাত্রায় ফেসবুক বা যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত।
মাদক ছাড়া যেমন অনেকে থাকতে পারে না সেরূপ ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও থাকতে পারে না। নেট সমস্যা বা কিছু সময়ের জন্য এসব মাধ্যম বন্ধ থাকলে হতাশায় রি-অ্যাকশ্যান দিয়ে পোস্ট দেয় যারা তাদের মোটাদাগে আসক্ত বলা যায়। যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী একাকীত্বে ভোগেন তারাই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি মানসিক রোগের সৃষ্টি করে।
শিশুদের ফেসবুকের আসক্তি কমাতে অভিভাবকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সন্তানকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। ফেসবুকের আসক্তি কমাতে স্কুলে স্কুলে সচেতনতা-প্রচার শুরু করলে এখনকার তরুণ প্রজন্মকে ওই কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যাবে। স্কুলগুলোতে কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। কর্মশালায় ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়ার কুফল নিয়ে আলোচনা, পাঠচক্র করা যেতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেটের কুফল থেকে সন্তানদের বাঁচাতে বিকল্প হিসেবে খেলাধুলা বা পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন বিকেলে পড়া শেষে তাকে খেলাধুলার সময় দিতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনে বই উপহার দিতে হবে যাতে আস্তে আস্তে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। বই পড়লে এক তো জ্ঞান বাড়বে অন্যদিকে ফেসবুকের আসক্তি কমবে।
শামসুল হক মৃধা
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যারা শেয়ার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুদের সমবেদনা দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে উভয়ই অতিমাত্রায় ফেসবুক বা যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত।
মাদক ছাড়া যেমন অনেকে থাকতে পারে না সেরূপ ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও থাকতে পারে না। নেট সমস্যা বা কিছু সময়ের জন্য এসব মাধ্যম বন্ধ থাকলে হতাশায় রি-অ্যাকশ্যান দিয়ে পোস্ট দেয় যারা তাদের মোটাদাগে আসক্ত বলা যায়। যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী একাকীত্বে ভোগেন তারাই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি মানসিক রোগের সৃষ্টি করে।
শিশুদের ফেসবুকের আসক্তি কমাতে অভিভাবকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সন্তানকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। ফেসবুকের আসক্তি কমাতে স্কুলে স্কুলে সচেতনতা-প্রচার শুরু করলে এখনকার তরুণ প্রজন্মকে ওই কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যাবে। স্কুলগুলোতে কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। কর্মশালায় ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়ার কুফল নিয়ে আলোচনা, পাঠচক্র করা যেতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেটের কুফল থেকে সন্তানদের বাঁচাতে বিকল্প হিসেবে খেলাধুলা বা পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন বিকেলে পড়া শেষে তাকে খেলাধুলার সময় দিতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনে বই উপহার দিতে হবে যাতে আস্তে আস্তে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। বই পড়লে এক তো জ্ঞান বাড়বে অন্যদিকে ফেসবুকের আসক্তি কমবে।
শামসুল হক মৃধা