শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

জানুয়ারির শুরুর দিকে দেখা যায় হাড় কাঁপানো শীত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেকর্ড করা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় তাপমাত্রা। রঙিন টেলিভিশনের পর্দা কিংবা দেশের শীর্ষ স্থানীয় খবরের কাগজের মাধ্যমে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ঢের কমেছে, সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকার আশপাশেও উঁকি দিচ্ছে আরো কিছু জেলা। এত কম তাপমাত্রা তবুও শৌখিন মানুষেরা থেমে নেই, জীবন চালিয়ে নিচ্ছে পুরো উদ্যমে। কুয়াশায় ঘর থেকে বের হতে না পারলেও উষ্ণ কাপড় মুড়িয়ে, কখনো কখনো লেপ কিংবা কম্বলের নিচে শুয়ে গণনা করছে সুখের দিনের।

চৌচির হওয়া স্বপ্নে প্রলাপ দিচ্ছে অথবা রঙিন চশমা পড়ে স্বপ্নবাজের মতো নতুন স্বপ্নে বিভোর। মুড়ি চিবুতে চিবুতে ভিন্ন অসমতাকে সমতা করছে, মনে আনন্দের ঢেউকে স্বাগত জানিয়ে সাহিত্যে মনোনিবেশ করছে। কিন্তু কখনো কখনো ইচ্ছে থাকলেও লেখা হয় না গল্প। পেটের তাড়না কিংবা বাস্তবতার কাছে যেন হার মেনে যায় কত স্বপ্ন। কেউ কেউ চাইলেও শীতের সকালে কম্বল মুড়ি দিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখতে পারে না। ভাবতে হয় পেটে দু’মুঠো আহার পড়বে কিনা। গ্রামের কাঁচা রাস্তায় অহরহ দেখা যায় শীতের তীব্রতায় ছেঁড়া কাপড়ে কাঁপছে অসহায়। ফুটপাত কিংবা রেলস্টেশনে গেলে এর ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায় না।

ছিন্নমূল মানুষেরা কত না কষ্ট করছে তাদের গায়ে নাই জামা, শীতের কাপড় তো কেবল বিলাসিতা। থাকার জন্য নেই আশ্রয়স্থল, সারারাত ফোঁটা ফোঁটা করে কুয়াশা পড়ে বৃষ্টির মতো। তাদের দিকে সুনজর দেওয়া আমাদের খুব বেশি জরুরি। শীতে অসহায় এবং ছিন্নমূলদের শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্বের মাঝে পড়ে। এই শীতে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

জুবায়েদ মোস্তফা

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

জানুয়ারির শুরুর দিকে দেখা যায় হাড় কাঁপানো শীত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেকর্ড করা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় তাপমাত্রা। রঙিন টেলিভিশনের পর্দা কিংবা দেশের শীর্ষ স্থানীয় খবরের কাগজের মাধ্যমে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ঢের কমেছে, সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকার আশপাশেও উঁকি দিচ্ছে আরো কিছু জেলা। এত কম তাপমাত্রা তবুও শৌখিন মানুষেরা থেমে নেই, জীবন চালিয়ে নিচ্ছে পুরো উদ্যমে। কুয়াশায় ঘর থেকে বের হতে না পারলেও উষ্ণ কাপড় মুড়িয়ে, কখনো কখনো লেপ কিংবা কম্বলের নিচে শুয়ে গণনা করছে সুখের দিনের।

চৌচির হওয়া স্বপ্নে প্রলাপ দিচ্ছে অথবা রঙিন চশমা পড়ে স্বপ্নবাজের মতো নতুন স্বপ্নে বিভোর। মুড়ি চিবুতে চিবুতে ভিন্ন অসমতাকে সমতা করছে, মনে আনন্দের ঢেউকে স্বাগত জানিয়ে সাহিত্যে মনোনিবেশ করছে। কিন্তু কখনো কখনো ইচ্ছে থাকলেও লেখা হয় না গল্প। পেটের তাড়না কিংবা বাস্তবতার কাছে যেন হার মেনে যায় কত স্বপ্ন। কেউ কেউ চাইলেও শীতের সকালে কম্বল মুড়ি দিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখতে পারে না। ভাবতে হয় পেটে দু’মুঠো আহার পড়বে কিনা। গ্রামের কাঁচা রাস্তায় অহরহ দেখা যায় শীতের তীব্রতায় ছেঁড়া কাপড়ে কাঁপছে অসহায়। ফুটপাত কিংবা রেলস্টেশনে গেলে এর ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায় না।

ছিন্নমূল মানুষেরা কত না কষ্ট করছে তাদের গায়ে নাই জামা, শীতের কাপড় তো কেবল বিলাসিতা। থাকার জন্য নেই আশ্রয়স্থল, সারারাত ফোঁটা ফোঁটা করে কুয়াশা পড়ে বৃষ্টির মতো। তাদের দিকে সুনজর দেওয়া আমাদের খুব বেশি জরুরি। শীতে অসহায় এবং ছিন্নমূলদের শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্বের মাঝে পড়ে। এই শীতে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

জুবায়েদ মোস্তফা