বাংলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ শিল্প এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ হিসেবে রেশম তৈরি প্রক্রিয়ার ইতিহাস শুরু হয়েছিল বহু শতক আগেই। বাংলায় এত বেশি রেশম উৎপাদিত হতো যে তা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পর প্রচুর পরিমাণে বাইরে রপ্তানি হতো। এই সিল্কের বাজারই প্রথম ইউরোপীয় বণিকদের বাংলায় আসতে আকৃষ্ট করে। ছোট আকারে বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে পরিণতিতে ইউরোপীয় বণিক কোম্পানিগুলো বাংলার বস্ত্রশিল্পের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। ক্রমশ তারা বাংলার তৈরি পোশাক শিল্পকে প্রভাবান্বিত করে এবং বস্ত্র রপ্তানির পরিবর্তে প্রসারণশীল বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী বস্ত্র তৈরির কাঁচামাল রপ্তানি শুরু করে।
রেশমের ঐতিহ্যবাহী এবং অতি জনপ্রিয় শাড়ির নাম গরদ। রাজশাহী অঞ্চলে বুনানো এই শাড়ি রেশমের স্বাভাবিক রঙের জমিনের বিপরীতে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লাল বা সবুজ এবং কখনো সোনালি জড়ির কাজ করা পাড় থাকে। রেশমের তৈরি অপর একটি জনপ্রিয় শাড়ির নাম ঢাকার কাতান।
বাংলাদেশের রেশম বাজার পুরোপুরি স্থানীয়। কখনও কখনও স্থানীয় সরবরাহের বাইরেও রেশমের চাহিদা দেখা যায় এবং বৈধ ও অবৈধ উপায়ে প্রধানত ভারত থেকে রেশমবস্ত্র আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর জীবনে রেশমের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। একখানি রেশম শাড়ির আভিজাত্য একটি দামি সুন্দর পোশাকের চেয়ে অনেক বেশি। রেশম শাড়ি বিত্ত, সভ্যতা, বাঙালি রমণীর ঐতিহ্যগত সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। সিল্কের বিভিন্ন নমুনা এবং ডিজাইনের জন্য বাংলা ভাষায় বিশেষ বিশেষ নাম প্রচলিত, যেমন- গরদ, মটকা, বেনারসি প্রভৃতি।
আরাফাত রহমান
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
বাংলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ শিল্প এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ হিসেবে রেশম তৈরি প্রক্রিয়ার ইতিহাস শুরু হয়েছিল বহু শতক আগেই। বাংলায় এত বেশি রেশম উৎপাদিত হতো যে তা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পর প্রচুর পরিমাণে বাইরে রপ্তানি হতো। এই সিল্কের বাজারই প্রথম ইউরোপীয় বণিকদের বাংলায় আসতে আকৃষ্ট করে। ছোট আকারে বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে পরিণতিতে ইউরোপীয় বণিক কোম্পানিগুলো বাংলার বস্ত্রশিল্পের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। ক্রমশ তারা বাংলার তৈরি পোশাক শিল্পকে প্রভাবান্বিত করে এবং বস্ত্র রপ্তানির পরিবর্তে প্রসারণশীল বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী বস্ত্র তৈরির কাঁচামাল রপ্তানি শুরু করে।
রেশমের ঐতিহ্যবাহী এবং অতি জনপ্রিয় শাড়ির নাম গরদ। রাজশাহী অঞ্চলে বুনানো এই শাড়ি রেশমের স্বাভাবিক রঙের জমিনের বিপরীতে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লাল বা সবুজ এবং কখনো সোনালি জড়ির কাজ করা পাড় থাকে। রেশমের তৈরি অপর একটি জনপ্রিয় শাড়ির নাম ঢাকার কাতান।
বাংলাদেশের রেশম বাজার পুরোপুরি স্থানীয়। কখনও কখনও স্থানীয় সরবরাহের বাইরেও রেশমের চাহিদা দেখা যায় এবং বৈধ ও অবৈধ উপায়ে প্রধানত ভারত থেকে রেশমবস্ত্র আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর জীবনে রেশমের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। একখানি রেশম শাড়ির আভিজাত্য একটি দামি সুন্দর পোশাকের চেয়ে অনেক বেশি। রেশম শাড়ি বিত্ত, সভ্যতা, বাঙালি রমণীর ঐতিহ্যগত সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। সিল্কের বিভিন্ন নমুনা এবং ডিজাইনের জন্য বাংলা ভাষায় বিশেষ বিশেষ নাম প্রচলিত, যেমন- গরদ, মটকা, বেনারসি প্রভৃতি।
আরাফাত রহমান