ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা

ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মম-লীয় রোগ; কিন্তু বর্তমানে শীতকালেও ডেঙ্গুর আভাস পাওয়া যায় এবং বেশ কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবে বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। তবে আজকাল সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে অঞ্চলভেদে থেমে থেমে গ্রাম থেকে শহরে অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তে সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে কক্সবাজার, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগেও কমবেশি এই ভাইরাসের মুখামুখি হয়েছে।

শহরে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক মশা নিধন অভিযান করলেও তা হচ্ছে অপ্রতুল। অপরদিকে গ্রামে স্থানীয় সরকারের তো এ বিষয়ে নেই কোনো ভ্রক্ষেপ। ফলে গ্রামীণ মানুষ কিভাবে নিজেরা একটু সচেতন হলে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচা যায়, সে সম্পর্কে অবগত নয়। এই প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থ ও জনবলের ঘাটতি রয়েছে। ফলে নিয়মিত কীটনাশক ও ক্যাম্পেইন করা সম্ভব হয় নি। তাই ব্যক্তিগত সচেতনতা ও প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

কেননা ডেঙ্গু মশার সৃষ্টি আমাদের কর্ম ফল। যদি আমরা নিজের বাসস্থান, আসবাবপত্র ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিুছন্ন না রাখি, তাহলে সামান্য কীটনাশক ব্যবহার করে মশা নিধন অসম্ভব। তাছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক অঙ্গ সংগঠনগুলো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

মোহাম্মদ আল-আমিন

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৪ মাঘ ১৪২৯, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা

ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মম-লীয় রোগ; কিন্তু বর্তমানে শীতকালেও ডেঙ্গুর আভাস পাওয়া যায় এবং বেশ কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবে বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। তবে আজকাল সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে অঞ্চলভেদে থেমে থেমে গ্রাম থেকে শহরে অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তে সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে কক্সবাজার, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগেও কমবেশি এই ভাইরাসের মুখামুখি হয়েছে।

শহরে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক মশা নিধন অভিযান করলেও তা হচ্ছে অপ্রতুল। অপরদিকে গ্রামে স্থানীয় সরকারের তো এ বিষয়ে নেই কোনো ভ্রক্ষেপ। ফলে গ্রামীণ মানুষ কিভাবে নিজেরা একটু সচেতন হলে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচা যায়, সে সম্পর্কে অবগত নয়। এই প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থ ও জনবলের ঘাটতি রয়েছে। ফলে নিয়মিত কীটনাশক ও ক্যাম্পেইন করা সম্ভব হয় নি। তাই ব্যক্তিগত সচেতনতা ও প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

কেননা ডেঙ্গু মশার সৃষ্টি আমাদের কর্ম ফল। যদি আমরা নিজের বাসস্থান, আসবাবপত্র ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিুছন্ন না রাখি, তাহলে সামান্য কীটনাশক ব্যবহার করে মশা নিধন অসম্ভব। তাছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক অঙ্গ সংগঠনগুলো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

মোহাম্মদ আল-আমিন