গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে বসতঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামের বাজার হাটির বাসিন্দা আরমান মিয়ার (২০) বসতঘর থেকে তার স্ত্রী সাদিয়া খাতুনের (১৮) ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী আরমান মিয়াকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।

মৃতের স্বামীর আরমান মিয়া জানান, সকালে বাজার থেকে মুরগি নিয়ে আসার পর তাকে রান্নার কথা বলি। সে কথার উত্তর না দেওয়ায় রাগে রান্নার মাটির চুলা ভেঙে আমি বাইরে চলে যাই। দুপুর আনুমানিক ১টায় বাড়িতে এসে দেখি সে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। তারপর আমার কান্না শুনে লোকজন ছুটে আসে। তবে মৃত সাদিয়া খাতুনের পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী আরমান মিয়া এবং ভাসুর লালচাঁন মিয়া।

ঘটনার পরপরই পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মুরুব্বিদের সহায়তায় বাইরে থেকে ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। কে বা কারা তালা লাগিয়েছে এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মৃতের স্বামী আরমান মিয়া ও পার্শ্ববর্তী কয়েকজন বাসিন্দা স্বীকার করেন পুলিশ আসার আগে দরজা খোলা ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে মৃতের গলায় দুই দিকে ওড়নার দাগ পাওয়া যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

লাখাই থানার ওসি নুনু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে তদন্ত চলছে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৫ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি, লাখাই (হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামে বসতঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামের বাজার হাটির বাসিন্দা আরমান মিয়ার (২০) বসতঘর থেকে তার স্ত্রী সাদিয়া খাতুনের (১৮) ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী আরমান মিয়াকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।

মৃতের স্বামীর আরমান মিয়া জানান, সকালে বাজার থেকে মুরগি নিয়ে আসার পর তাকে রান্নার কথা বলি। সে কথার উত্তর না দেওয়ায় রাগে রান্নার মাটির চুলা ভেঙে আমি বাইরে চলে যাই। দুপুর আনুমানিক ১টায় বাড়িতে এসে দেখি সে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। তারপর আমার কান্না শুনে লোকজন ছুটে আসে। তবে মৃত সাদিয়া খাতুনের পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী আরমান মিয়া এবং ভাসুর লালচাঁন মিয়া।

ঘটনার পরপরই পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মুরুব্বিদের সহায়তায় বাইরে থেকে ঘরের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। কে বা কারা তালা লাগিয়েছে এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মৃতের স্বামী আরমান মিয়া ও পার্শ্ববর্তী কয়েকজন বাসিন্দা স্বীকার করেন পুলিশ আসার আগে দরজা খোলা ছিল। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে মৃতের গলায় দুই দিকে ওড়নার দাগ পাওয়া যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

লাখাই থানার ওসি নুনু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে তদন্ত চলছে।