নিহত তিনজনের পাকস্থলীতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পেয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। বাকি দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তে না পাঠানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজনের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এর আগে গত সোমবার নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান ডা. মো. হেলাল উদ্দিন। যাদের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তারা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৭), সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মো. জহির রায়হান জজ (৫৯) ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন চা দোকানদার মো. লিটন মিয়া (৪৮)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় অন্য নিহতরা হলেন বির্ভাটেক রিকসা চালক শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

(৫২) ও হোমিও চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (৪৮)। এদের মধ্যে শাহজাহান মিয়াকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও ডা. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাসকে দাহ করা হয়।

তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা. মাকসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য দুই সদস্য ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহাগ ও ডা. রোম্মন।

উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্তের পর তাদের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে করে ধারণা করা যায় অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা নেশা জাতীয় কোন কিছু খেয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তিনি আরো জানান, ভিসেরা রিপোর্ট আসার পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৫ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

নিহত তিনজনের পাকস্থলীতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে

প্রতিনিধি, ভৈরব

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পেয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। বাকি দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তে না পাঠানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজনের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এর আগে গত সোমবার নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান ডা. মো. হেলাল উদ্দিন। যাদের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তারা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৭), সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মো. জহির রায়হান জজ (৫৯) ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন চা দোকানদার মো. লিটন মিয়া (৪৮)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় অন্য নিহতরা হলেন বির্ভাটেক রিকসা চালক শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

(৫২) ও হোমিও চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (৪৮)। এদের মধ্যে শাহজাহান মিয়াকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও ডা. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাসকে দাহ করা হয়।

তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা. মাকসুদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য দুই সদস্য ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহাগ ও ডা. রোম্মন।

উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্তের পর তাদের পাকস্থলিতে নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে করে ধারণা করা যায় অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা নেশা জাতীয় কোন কিছু খেয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তিনি আরো জানান, ভিসেরা রিপোর্ট আসার পরে বিস্তারিত জানা যাবে।