দুপুর থেকে বাফুফে ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভিড়।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে খবর জানানোর সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের পরও কৌতুহলের শেষ নেই। সবার অপেক্ষা সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের কারণ জানা এবং পাঠককে জানানো, কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা থাকলেন আড়ালে!
পরে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছে বাফুফে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন হতে বর্ণিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে অবহিত করা হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্ণিত বিষয়ে (আর্জেন্টিনার বাংলাদেশে আগমন) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে চলমান আছে। এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কাম্য।’
গত মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বাফুফে লিখেছিল, ‘আগামী জুনে ফিফা উইন্ডোতে বর্তমান ফিফা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের বাংলাদেশ আগমনের বিষয়ে জানানোর জন্য গতকাল দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস ব্রিফিং বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হবে।’ আগামী জুনের সেই সফর নিয়ে গতকাল দুপুর আড়াইটায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাফুফের। কিন্তু সাড়ে ১১টার দিকে হুট করেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করে দেয়ার বার্তা দেয় দেশের ফুটবলের সংস্থাটি।
‘আজ (গতকাল) দুপুর আড়াইটায় বাফুফের পূর্বনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংটি অনিবার্য কারণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বিধায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
বাফুফের এই বার্তার নেপথ্যের কারণ জানতে ভবনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। অনুরোধ সত্ত্বেও এ বিষয়ে কথা বলতে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেননি বাফুফে কর্মকর্তাদের কেউ। অফিসিয়ালদের মাধ্যমে শুধু জানানো হয়, এ ব্যাপারে কেউ কথা বলবেন না।
একটি গণমাধ্যমে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মন্তব্য দিয়ে আর্জেন্টিনার আগামী জুনে ঢাকায় আসার খবর চাউর হয় গত মঙ্গলবার।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশের আসার খবর থিতিয়ে যায় আর্জেন্টিনার দৈনিক টিওয়াইসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিভাগে কাজ করা গাস্তন এদুলের এক পোস্টে। সেখানে তিনি লেখেন, ঢাকায় জুনে আসার ব্যাপারে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি।
এদুল জানান, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে চুক্তিকে। এটি সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কোন কিছুতে মনোযোগ নেই তাদের।
এর আগে ২০১১ সালে আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় এনেছিল বাফুফে। সেবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন মেসিরা।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছরর খরা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে আর্জেন্টিনা। তাদের আবারও ঢাকায় আনতে আগ্রহী বাফুফে।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলায় খেলার অনুপোযোগী থাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জুনের আগে প্রস্তুত হওয়া, আর্জেন্টিনার আসা এবং প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয় দল চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্টই। তা দূর করতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল বাফুফে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৫ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
দুপুর থেকে বাফুফে ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভিড়।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে খবর জানানোর সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের পরও কৌতুহলের শেষ নেই। সবার অপেক্ষা সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের কারণ জানা এবং পাঠককে জানানো, কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা থাকলেন আড়ালে!
পরে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছে বাফুফে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন হতে বর্ণিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে অবহিত করা হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্ণিত বিষয়ে (আর্জেন্টিনার বাংলাদেশে আগমন) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে চলমান আছে। এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কাম্য।’
গত মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বাফুফে লিখেছিল, ‘আগামী জুনে ফিফা উইন্ডোতে বর্তমান ফিফা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের বাংলাদেশ আগমনের বিষয়ে জানানোর জন্য গতকাল দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস ব্রিফিং বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হবে।’ আগামী জুনের সেই সফর নিয়ে গতকাল দুপুর আড়াইটায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাফুফের। কিন্তু সাড়ে ১১টার দিকে হুট করেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করে দেয়ার বার্তা দেয় দেশের ফুটবলের সংস্থাটি।
‘আজ (গতকাল) দুপুর আড়াইটায় বাফুফের পূর্বনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংটি অনিবার্য কারণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বিধায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
বাফুফের এই বার্তার নেপথ্যের কারণ জানতে ভবনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। অনুরোধ সত্ত্বেও এ বিষয়ে কথা বলতে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেননি বাফুফে কর্মকর্তাদের কেউ। অফিসিয়ালদের মাধ্যমে শুধু জানানো হয়, এ ব্যাপারে কেউ কথা বলবেন না।
একটি গণমাধ্যমে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মন্তব্য দিয়ে আর্জেন্টিনার আগামী জুনে ঢাকায় আসার খবর চাউর হয় গত মঙ্গলবার।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশের আসার খবর থিতিয়ে যায় আর্জেন্টিনার দৈনিক টিওয়াইসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিভাগে কাজ করা গাস্তন এদুলের এক পোস্টে। সেখানে তিনি লেখেন, ঢাকায় জুনে আসার ব্যাপারে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি।
এদুল জানান, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে চুক্তিকে। এটি সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কোন কিছুতে মনোযোগ নেই তাদের।
এর আগে ২০১১ সালে আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় এনেছিল বাফুফে। সেবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন মেসিরা।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছরর খরা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে আর্জেন্টিনা। তাদের আবারও ঢাকায় আনতে আগ্রহী বাফুফে।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলায় খেলার অনুপোযোগী থাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জুনের আগে প্রস্তুত হওয়া, আর্জেন্টিনার আসা এবং প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয় দল চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে সংশয় রয়েছে যথেষ্টই। তা দূর করতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল বাফুফে।