শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিকদার বাড়ির পূর্বদিকে বাঘড়ার চরের মাটি লুট করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মজিবরের বিরুদ্ধে চরের মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি করা হচ্ছে (দূরুত্ব ভেদে) ১০০০-১৫০০ টাকা করে। দৈনিক অন্তত চরের ৩০ থেকে ৪০ ট্রলি মাটি বিক্রির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঘড়ার সিকদার বাড়ি সংলগ্ন চরের প্রায় দেড়শ’ গজ দূরে যত্রতত্রভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিক কোদালে চরের টপ সয়েল কেটে ট্রলিতে ভরছেন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে শ্রমিকরা সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। কয়েকজন শিশু শ্রমিককে মাটি ভর্তি ট্রলির চালকের দায়িত্বে থাকতে লক্ষ্য করা যায়, চরের মাটি ভর্তি এসব ট্রলির ওভারলোডিংয়ে স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তাঘাট বেহাল করা হচ্ছে। সড়কে এসব ট্রলির যাতায়াতে দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, মো. মজিবর একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বাঘড়ার চরের মাটি বিক্রি করছেন। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন। তিনি চরের লুট মাটি বাণিজ্যে এলাকায় একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ চক্রের অন্যতম সদস্য মজিবর মেম্বার বিভিন্ন রাস্তা মেরামতের কথা বলে চরের মাটি বিক্রি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কয়েকদিন আগে অন্য একটি সিন্ডিকেট চরের মাটি বিক্রি শুরু করলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিনের জন্য মাটি কাটা বন্ধ ছিল। এখন স্থানীয় মেম্বার মজিবরের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ মাটিখোর চক্র ৪ দিন ধরে চরের মাটি কেটে ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে রাস্তার উন্নয়নের নামে এসব মাটি ভর্তি নিষিদ্ধ ট্রলির অবাদ চলাচলে বাঘড়ার বিভিন্ন রাস্তাঘাট আরও বেহাল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের কাছে জানতে, চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, চরের মাটি কাটতে হলে কোন অনুমোতির প্রয়োজন নেই। রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি নিচ্ছি সবাই জানেন। বরাদ্দকৃত কোন রাস্তার কাজের জন্য আপনি চরের মাটি কেটে নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান। বাঘড়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল-আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন হলো আমার অন্যত্র পোস্টিং হয়েছে। আমি থাকাকালীন সময়ে চরের মাটি কাটার জন্য কেউ পারমিশন নেননি। ওই ভূমি অফিসে সদ্য যোগদানকৃত তহশিলদারের মোবাইল নম্বর দিয়ে এ বিষয়ে জানতে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে বাঘড়া ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহশিলদার পিয়াংকা সাহার সঙ্গে যোযাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
প্রতিনিধি, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)
শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিকদার বাড়ির পূর্বদিকে বাঘড়ার চরের মাটি লুট করা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মজিবরের বিরুদ্ধে চরের মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি করা হচ্ছে (দূরুত্ব ভেদে) ১০০০-১৫০০ টাকা করে। দৈনিক অন্তত চরের ৩০ থেকে ৪০ ট্রলি মাটি বিক্রির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঘড়ার সিকদার বাড়ি সংলগ্ন চরের প্রায় দেড়শ’ গজ দূরে যত্রতত্রভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শ্রমিক কোদালে চরের টপ সয়েল কেটে ট্রলিতে ভরছেন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে শ্রমিকরা সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। কয়েকজন শিশু শ্রমিককে মাটি ভর্তি ট্রলির চালকের দায়িত্বে থাকতে লক্ষ্য করা যায়, চরের মাটি ভর্তি এসব ট্রলির ওভারলোডিংয়ে স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তাঘাট বেহাল করা হচ্ছে। সড়কে এসব ট্রলির যাতায়াতে দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, মো. মজিবর একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বাঘড়ার চরের মাটি বিক্রি করছেন। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন। তিনি চরের লুট মাটি বাণিজ্যে এলাকায় একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ চক্রের অন্যতম সদস্য মজিবর মেম্বার বিভিন্ন রাস্তা মেরামতের কথা বলে চরের মাটি বিক্রি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কয়েকদিন আগে অন্য একটি সিন্ডিকেট চরের মাটি বিক্রি শুরু করলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিনের জন্য মাটি কাটা বন্ধ ছিল। এখন স্থানীয় মেম্বার মজিবরের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ মাটিখোর চক্র ৪ দিন ধরে চরের মাটি কেটে ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে রাস্তার উন্নয়নের নামে এসব মাটি ভর্তি নিষিদ্ধ ট্রলির অবাদ চলাচলে বাঘড়ার বিভিন্ন রাস্তাঘাট আরও বেহাল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের কাছে জানতে, চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, চরের মাটি কাটতে হলে কোন অনুমোতির প্রয়োজন নেই। রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি নিচ্ছি সবাই জানেন। বরাদ্দকৃত কোন রাস্তার কাজের জন্য আপনি চরের মাটি কেটে নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান। বাঘড়া ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল-আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন হলো আমার অন্যত্র পোস্টিং হয়েছে। আমি থাকাকালীন সময়ে চরের মাটি কাটার জন্য কেউ পারমিশন নেননি। ওই ভূমি অফিসে সদ্য যোগদানকৃত তহশিলদারের মোবাইল নম্বর দিয়ে এ বিষয়ে জানতে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে বাঘড়া ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহশিলদার পিয়াংকা সাহার সঙ্গে যোযাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।