ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় একটি ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলায় এই অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলামসহ একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম জানান, আমরা মিষ্টির গাদ দিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে উত্তর পৈরতলার সাদেক মিয়ার কারখানায় অভিযান চালাই। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই তারা মিষ্টির গাদগুলো প্রসেসিং করে ফেলে।
কারখানায় গিয়ে দেখতে পান চিনি পুড়িয়ে খাওয়ার উপযোগী নয় এমন রঙ, হাইড্রোজ ও সেকারিন মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি হচ্ছে। তারা পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ গুড়ে এসব উপাদান ব্যবহার করে খেজুরের গুড় তৈরি করছিল।
কারখানা থেকে ১২০ কেজি ভেজাল গুড়, ১০০ কেজি ভেজাল তিললাই ( কদমা) ও অননুমোদিত রঙ, হাইড্রোজ এবং সেকারিন জব্দ করা হয়। এছাড়া কারখানায় ৩৫ বস্তা চিনি পাওয়া যায়।
অভিযানকালে কারখানার মালিক সাদেক মিয়াকে পাওয়া যায়নি তবে তার স্ত্রী বাহিজা বেগমকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ লঙ্ঘন করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এই কারখানা থেকে ভেজাল গুড় তৈরি করে শহরের আনন্দ বাজারে তাদের নিজস্ব দোকানে বিক্রি করা হয়।
শীতের মৌসুমে খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় তারা এই অসাধু উপায়ে ভেজাল গুড় তেরি করে বিক্রি করে আসছিল।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় একটি ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলায় এই অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলামসহ একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম জানান, আমরা মিষ্টির গাদ দিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে উত্তর পৈরতলার সাদেক মিয়ার কারখানায় অভিযান চালাই। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই তারা মিষ্টির গাদগুলো প্রসেসিং করে ফেলে।
কারখানায় গিয়ে দেখতে পান চিনি পুড়িয়ে খাওয়ার উপযোগী নয় এমন রঙ, হাইড্রোজ ও সেকারিন মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি হচ্ছে। তারা পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ গুড়ে এসব উপাদান ব্যবহার করে খেজুরের গুড় তৈরি করছিল।
কারখানা থেকে ১২০ কেজি ভেজাল গুড়, ১০০ কেজি ভেজাল তিললাই ( কদমা) ও অননুমোদিত রঙ, হাইড্রোজ এবং সেকারিন জব্দ করা হয়। এছাড়া কারখানায় ৩৫ বস্তা চিনি পাওয়া যায়।
অভিযানকালে কারখানার মালিক সাদেক মিয়াকে পাওয়া যায়নি তবে তার স্ত্রী বাহিজা বেগমকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ লঙ্ঘন করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এই কারখানা থেকে ভেজাল গুড় তৈরি করে শহরের আনন্দ বাজারে তাদের নিজস্ব দোকানে বিক্রি করা হয়।
শীতের মৌসুমে খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় তারা এই অসাধু উপায়ে ভেজাল গুড় তেরি করে বিক্রি করে আসছিল।