মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল দুই প্রতিবন্ধী পরিবার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই প্রতিবন্ধী পরিবার পেলো মাথা গোঁজার ঠাই। বসতঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দোয়া করলেন। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারাঘাটা গ্রামে শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা (৪৮) জন্ম থেকেই দু’ পা, দু’ হাত শারিরীকভাবে অচল। পিতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক এবি এম মোসলেম আলী মৃধার ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে প্রতিবন্ধী রব। শারিরীক প্রতিবন্ধীর মধ্যে থেকেও ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছে। পরবর্তীতে অভাবের তাড়নায় খুলনা শহরের নিরালা এলাকায় চা বিক্রি করে কোন মতে দিন পার করতেন এবং সেখান থেকে নিজ উপার্যনের কিছু টাকা পিতাকে দিয়ে ১৪ শতক জমি ক্রয় করলেন বিশারীঘাটা গ্রামের বাড়িতে। কয়েক বছর পর শহর থেকে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। অন্যের বাড়িতে তার জীবনযাপন। সংসার জীবনে প্রতিবন্ধী স্বামীকে বোঝা মনে করে ৬ বছরের মেয়েকে রেখে স্ত্রী চলে যান পিতার বাড়িতে। জীবন যুদ্ধেও তার পরেও থেমে নেই আব্দুর রব মৃধা। অভাবের সংসারে মেয়ে রাবেয়াকে লেখাপড়া শিখিয়ে বর্তমানে এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সরকারিভাবে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধিনে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে দুস্থ ভিটেমাটিহীন প্রকল্পের মাধ্যমে এ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১টি ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ২টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে প্রতিবন্ধী দুটি পরিবার। এ সুবিধাভোগীর আওতায় মাথা গোজার ঠাই হলো দুই শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুস। রঙ্গিন টিনের ছাউনি দুটি কক্ষ, টয়লেট ও রান্না ঘরসহ সেমিপাকা এ ঘরের ব্যায় হয়েছে একটিতে ঘরে ২ লাখ ৪০ হাজার অন্যটি ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। নতুন ঘর পেয়ে খুশির আনন্দে অশ্রু নয়নে প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা বলেন, মাথা গোজার ঠাই করে দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য দোয়া করি। গৃহের ছাউনির কাঠ, ইট বালু কেরিং সহ প্রায় ৫০/৫৫ হাজার টাকা নিজ খরচে ব্যায় হয়েছে। তবে, দুঃখ একটাই কাজের তদারকী অফিসের লোক আজিজুল শেখ চোখ রাঙ্গিয়ে কাজটি দায়সারভাবে করেছে। আমার ঘরের প্রায় দেড় হাজার ইট বিক্রি করেছে পাসেই। আমাকে মারধরের হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আজিজুল শেখ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঘর তুলছি। প্রতিবন্ধীর ওর কথা শোনা যাবে না। ওর কোন কথা সঠিক নয়।

এ সর্ম্পকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এ উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে দুইটি প্রতিবন্ধী পরিবার তার দপ্তরের মাধ্যমে সুবিধার আওতায় এসেছে। যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজটি তদারকি করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের সামনে প্রতিবন্ধী আঃরব মৃধা -সংবাদ

আরও খবর
কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে ফসলি জমির উর্বর মাটি লুটের মহোৎসব
সীতাকুন্ডে ২০ স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার ২
বিএসএফের মারধরে এক যুবক আহত
লালমাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ইয়াবা-গাঁজাসহ ৩ ব্যবসায়ী আটক
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি ধাক্কায় আহত ২
শরণখোলায় একরাতে পাঁচ বাড়িতে চুরি
শ্রীনগরে বাঘড়া চরের মাটি লুটপাট মেম্বার বাহিনীর
ভুরুঙ্গামারীতে ৩ দোকান ছাই
অবৈধভাবে মজুদ এসিআই’র সাড়ে চার হাজার টন ধান-চাল জব্দ
৩৬৬ বর্ষী ঘোড়দৌড়ে ১০ গ্রামের মিলনমেলা
তিন ফসলি জমির উর্বর মাটি ভাটায় : বেপরোয়া মাটিখেকোরা
পাসপোর্ট করতে এসে দুই রোহিঙ্গা নারী আটক
কুমিল্লায় ভারতীয় বাজিসহ আটক ১
কৃষির আধুনিকায়নে দিন দিন বাড়ছে যন্ত্রপাতি ব্যবহার
ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান, জরিমানা লাখ টাকা
ইয়াবা ও জাল টাকাসহ মাদক কারবারি আটক
৮ দিনেও গ্রেফতার নেই বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
বাবার সম্পত্তিতে অধিকার দাবিতে অবস্থান ছেলের
৩০ প্রজাতির ফল বাগানে সফল সিদ্দিক

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল দুই প্রতিবন্ধী পরিবার

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের সামনে প্রতিবন্ধী আঃরব মৃধা -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই প্রতিবন্ধী পরিবার পেলো মাথা গোঁজার ঠাই। বসতঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দোয়া করলেন। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিশারাঘাটা গ্রামে শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা (৪৮) জন্ম থেকেই দু’ পা, দু’ হাত শারিরীকভাবে অচল। পিতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক এবি এম মোসলেম আলী মৃধার ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে প্রতিবন্ধী রব। শারিরীক প্রতিবন্ধীর মধ্যে থেকেও ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছে। পরবর্তীতে অভাবের তাড়নায় খুলনা শহরের নিরালা এলাকায় চা বিক্রি করে কোন মতে দিন পার করতেন এবং সেখান থেকে নিজ উপার্যনের কিছু টাকা পিতাকে দিয়ে ১৪ শতক জমি ক্রয় করলেন বিশারীঘাটা গ্রামের বাড়িতে। কয়েক বছর পর শহর থেকে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। অন্যের বাড়িতে তার জীবনযাপন। সংসার জীবনে প্রতিবন্ধী স্বামীকে বোঝা মনে করে ৬ বছরের মেয়েকে রেখে স্ত্রী চলে যান পিতার বাড়িতে। জীবন যুদ্ধেও তার পরেও থেমে নেই আব্দুর রব মৃধা। অভাবের সংসারে মেয়ে রাবেয়াকে লেখাপড়া শিখিয়ে বর্তমানে এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সরকারিভাবে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধিনে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে দুস্থ ভিটেমাটিহীন প্রকল্পের মাধ্যমে এ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১টি ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ২টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে প্রতিবন্ধী দুটি পরিবার। এ সুবিধাভোগীর আওতায় মাথা গোজার ঠাই হলো দুই শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুস। রঙ্গিন টিনের ছাউনি দুটি কক্ষ, টয়লেট ও রান্না ঘরসহ সেমিপাকা এ ঘরের ব্যায় হয়েছে একটিতে ঘরে ২ লাখ ৪০ হাজার অন্যটি ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। নতুন ঘর পেয়ে খুশির আনন্দে অশ্রু নয়নে প্রতিবন্ধী আঃ রব মৃধা বলেন, মাথা গোজার ঠাই করে দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য দোয়া করি। গৃহের ছাউনির কাঠ, ইট বালু কেরিং সহ প্রায় ৫০/৫৫ হাজার টাকা নিজ খরচে ব্যায় হয়েছে। তবে, দুঃখ একটাই কাজের তদারকী অফিসের লোক আজিজুল শেখ চোখ রাঙ্গিয়ে কাজটি দায়সারভাবে করেছে। আমার ঘরের প্রায় দেড় হাজার ইট বিক্রি করেছে পাসেই। আমাকে মারধরের হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আজিজুল শেখ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ঘর তুলছি। প্রতিবন্ধীর ওর কথা শোনা যাবে না। ওর কোন কথা সঠিক নয়।

এ সর্ম্পকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এ উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে দুইটি প্রতিবন্ধী পরিবার তার দপ্তরের মাধ্যমে সুবিধার আওতায় এসেছে। যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজটি তদারকি করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।