স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই পদক্ষেপ
সাময়িক সনদের মেয়াদ শেষ হওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর মধ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ রাখা ও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দিয়েছে ইউজিসি।
গতকাল জারি হওয়া ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দেশের চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ
ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সর্ম্পূণরূপে বন্ধ থাকবে। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামসমূহ যথারীতি চালু থাকবে।
যাদের সময় দেয়া হয়েছে
মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বিবেচনায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকার বিবেচনায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইউজিসি।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউজিসি জানায়, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়নি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ১১ এপ্রিল নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ২০২৩ সালেল ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে ১০৮টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই রাজধানী ঢাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকরা সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হলে, অথবা সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য ধারা ৯ এর কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে, এ সাময়িক অনুমতিপত্র বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকরা সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই পদক্ষেপ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সাময়িক সনদের মেয়াদ শেষ হওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর মধ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ রাখা ও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দিয়েছে ইউজিসি।
গতকাল জারি হওয়া ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দেশের চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ
ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সর্ম্পূণরূপে বন্ধ থাকবে। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামসমূহ যথারীতি চালু থাকবে।
যাদের সময় দেয়া হয়েছে
মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বিবেচনায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকার বিবেচনায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইউজিসি।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউজিসি জানায়, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়নি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ১১ এপ্রিল নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ২০২৩ সালেল ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে ১০৮টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই রাজধানী ঢাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকরা সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদের মধ্যে সনদপত্রের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হলে, অথবা সনদপত্র প্রাপ্তির জন্য ধারা ৯ এর কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে, এ সাময়িক অনুমতিপত্র বা, ক্ষেত্রমত, নবায়নকরা সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।