মানব পাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন এবং সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এ কাজের অংশ হিসেবে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির দাসত্ব ও মানব পাচার প্রতিরোধসংক্রান্ত প্রকল্প ‘ফাইট স্লাভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে মানব পাচার রোধে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের চার শতাধিক বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির তিন হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হেলেন লাফাভ বলেন, ‘কোন পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না যদি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করা ও মানব পাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মানব পাচার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে এরই মধ্যে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, পাচারবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং এ সময়ে বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত জোরদার করা হয় এবং পাচারের শিকার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা ও তাদের সমাজে পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানব পাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে। ’

আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কলকাতা বন্দর থেকে ফেরত গেল রূপপুরের সরঞ্জাম
চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, সময় পেল ১২টি
টিসিবির জন্য ২৭৪ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
কিউআর কোড : ক্যাশলেস দুনিয়ায় স্বস্তিতে সবুজ, জগদিস, বাবুল, নাজিমরা
বিএনপি বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে : কাদের
১৯ দফা সামনে রেখে বিএনপি পথ চলছে : ফখরুল
রঙে মাত্রাতিরিক্ত সিসা, এসডোর গবেষণা
দেশে প্রথম ‘ব্রেন ডেথ’ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন, সারা ইসলাম হলেন প্রথম অঙ্গদাতা
সারাদেশে এখনও পৌঁছেনি সব পাঠ্যবই
শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি
রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজার ‘চড়া’
জিএম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন রাঙ্গা
বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে নির্বাচনী এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা আ’লীগের
আমাদের গণতন্ত্র বিদেশিদের ফরমায়েশে চলবে না : কাদের
দুই বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ’লীগের পরাজয় নিশ্চিত : মির্জা ফখরুল
তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান রিতুর জীবনচিত্র এখন পাঠ্যবইয়ে

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

মানব পাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন এবং সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এ কাজের অংশ হিসেবে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির দাসত্ব ও মানব পাচার প্রতিরোধসংক্রান্ত প্রকল্প ‘ফাইট স্লাভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে মানব পাচার রোধে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের চার শতাধিক বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির তিন হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হেলেন লাফাভ বলেন, ‘কোন পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না যদি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করা ও মানব পাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মানব পাচার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে এরই মধ্যে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, পাচারবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং এ সময়ে বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত জোরদার করা হয় এবং পাচারের শিকার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা ও তাদের সমাজে পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানব পাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে। ’