বিএনপি বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে : কাদের

‘বিএনপি বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আপাতদৃষ্টে নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি তলে তলে সক্রিয়। তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’ গতকাল রাজধানীর সেতুভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তবে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত তার দল গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে।

বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন ‘পাল্টা কর্মসূচি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে কি বিএনপির সঙ্গে সংঘাত ঘটেছে? আওয়ামী লীগ তার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংঘাতে গেছে, এমন একটা ঘটনাও নেই। এরকম একটা উদাহরণ দিতে মির্জা ফখরুলও পারবে না।’

গত ১৬ জানুয়ারি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের দিন ঢাকায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। এর আগেও গত ১১ জানুয়ারি ও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসুচির দিনও আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচি ছিল। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিনও ঢাকার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংঘাত করার কোন ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই। দুই দলের কর্মসূচির দিনক্ষণের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) কর্মসূচি পালন করতে আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের উপরে হামলা, বাস পোড়ানো, নাশকতা করে। সেজন্য আমরা যেহেতু ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের অধিকার রক্ষা করা এটা আমাদের ওয়াদা, দায়িত্ব, কর্তব্য।’

বিএনপির মতো আওয়ামী লীগ সড়ক দখল করে কর্মসূচি করে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে সমাবেশ করে রাস্তার সামনে কতগুলো রাস্তা বন্ধ থাকে। আওয়ামী লীগের শ্যামলীর সমাবেশে একপাশ বন্ধ ছিল, কিন্তু অন্যপাশ খোলা ছিল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে পাশের দুটি রাস্তাই খোলা থাকে, কোন জ্যাম হয় না।’

দেশে গণতন্ত্রহীন অবস্থা চলছে বলে বিএনপি যে দাবি করছে, তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই, দেশে কী গণতন্ত্র আনবে তারা? তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না। দেশে অনেক আগেই গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছে, নতুন করে এই কাজের আর প্রয়োজন নেই। যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তিনি (ফখরুল), একটা শাখা সংগঠনের সম্মেলন হয় না, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয় না বিএনপির।’

এর আগে সেতুভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

image
আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কলকাতা বন্দর থেকে ফেরত গেল রূপপুরের সরঞ্জাম
চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, সময় পেল ১২টি
মানব পাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ
টিসিবির জন্য ২৭৪ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
কিউআর কোড : ক্যাশলেস দুনিয়ায় স্বস্তিতে সবুজ, জগদিস, বাবুল, নাজিমরা
১৯ দফা সামনে রেখে বিএনপি পথ চলছে : ফখরুল
রঙে মাত্রাতিরিক্ত সিসা, এসডোর গবেষণা
দেশে প্রথম ‘ব্রেন ডেথ’ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন, সারা ইসলাম হলেন প্রথম অঙ্গদাতা
সারাদেশে এখনও পৌঁছেনি সব পাঠ্যবই
শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি
রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজার ‘চড়া’
জিএম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন রাঙ্গা
বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে নির্বাচনী এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা আ’লীগের
আমাদের গণতন্ত্র বিদেশিদের ফরমায়েশে চলবে না : কাদের
দুই বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ’লীগের পরাজয় নিশ্চিত : মির্জা ফখরুল
তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান রিতুর জীবনচিত্র এখন পাঠ্যবইয়ে

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

বিএনপি বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

‘বিএনপি বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আপাতদৃষ্টে নিষ্ক্রিয় মনে হলেও বিএনপি তলে তলে সক্রিয়। তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোয়েন্দাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’ গতকাল রাজধানীর সেতুভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তবে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত তার দল গণসংযোগ ও শান্তি সমাবেশ করবে।

বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন ‘পাল্টা কর্মসূচি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় না। আওয়ামী লীগ অবিরাম কর্মসূচিতে আছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে কি বিএনপির সঙ্গে সংঘাত ঘটেছে? আওয়ামী লীগ তার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংঘাতে গেছে, এমন একটা ঘটনাও নেই। এরকম একটা উদাহরণ দিতে মির্জা ফখরুলও পারবে না।’

গত ১৬ জানুয়ারি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের দিন ঢাকায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। এর আগেও গত ১১ জানুয়ারি ও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসুচির দিনও আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচি ছিল। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিনও ঢাকার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংঘাত করার কোন ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই। দুই দলের কর্মসূচির দিনক্ষণের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) কর্মসূচি পালন করতে আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের উপরে হামলা, বাস পোড়ানো, নাশকতা করে। সেজন্য আমরা যেহেতু ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের অধিকার রক্ষা করা এটা আমাদের ওয়াদা, দায়িত্ব, কর্তব্য।’

বিএনপির মতো আওয়ামী লীগ সড়ক দখল করে কর্মসূচি করে না বলেও দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে সমাবেশ করে রাস্তার সামনে কতগুলো রাস্তা বন্ধ থাকে। আওয়ামী লীগের শ্যামলীর সমাবেশে একপাশ বন্ধ ছিল, কিন্তু অন্যপাশ খোলা ছিল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে পাশের দুটি রাস্তাই খোলা থাকে, কোন জ্যাম হয় না।’

দেশে গণতন্ত্রহীন অবস্থা চলছে বলে বিএনপি যে দাবি করছে, তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই, দেশে কী গণতন্ত্র আনবে তারা? তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না। দেশে অনেক আগেই গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছে, নতুন করে এই কাজের আর প্রয়োজন নেই। যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তিনি (ফখরুল), একটা শাখা সংগঠনের সম্মেলন হয় না, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয় না বিএনপির।’

এর আগে সেতুভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পদ্মা সেতুসহ সব সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।