রাতের বেলা ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ নামছে মৌলভীবাজার জেলায়। শৈতপ্রবাহ চলতে পারে আরও কয়েকদিন। গতকাল সকালে দেশের এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
তবে গতকাল সারাদিন ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। এতে মানুষ শীতের ধকল অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সংবাদকে জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার একই সময় তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ এবং বুধবার ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগের কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সাধারণত ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে একে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আনিসুর রহমান।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ৪ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। এরপর কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যায়। কিন্তু গত তিন দিন ধরে পুনরায় শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার পর থেকে ঘন কুয়াশার ও আর শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
গতকাল দুপুরে শ্রীমঙ্গলের লাউড়াছড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে হুড খোলা জিপে বিদেশি পর্যটকরা ঘুরে ঘুরে রোদ পোহাচ্ছেন আর প্রকৃতি অবলোকন করছেন।
কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকায় বসবাস করছেন এমন কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছেন, রাতে শীতের তীব্রতা প্রচন্ড বেড়ে যায়। তবে দিনের বেলা সুর্যের তাপে বাড়তে থাকে।
এখন বোরো ধান লাগানোর মৌসুম হওয়ায় এই কনকনে শীত উপেক্ষা করেই কৃষকরা বোরো ক্ষেতে চারা রোপণ করছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, অন্য সময়ের তুলনায় এখন ঠান্ডাজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার
রাতের বেলা ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ নামছে মৌলভীবাজার জেলায়। শৈতপ্রবাহ চলতে পারে আরও কয়েকদিন। গতকাল সকালে দেশের এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
তবে গতকাল সারাদিন ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। এতে মানুষ শীতের ধকল অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সংবাদকে জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার একই সময় তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ এবং বুধবার ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগের কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সাধারণত ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে একে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আনিসুর রহমান।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ৪ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। এরপর কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যায়। কিন্তু গত তিন দিন ধরে পুনরায় শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার পর থেকে ঘন কুয়াশার ও আর শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে।
গতকাল দুপুরে শ্রীমঙ্গলের লাউড়াছড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে হুড খোলা জিপে বিদেশি পর্যটকরা ঘুরে ঘুরে রোদ পোহাচ্ছেন আর প্রকৃতি অবলোকন করছেন।
কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকায় বসবাস করছেন এমন কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছেন, রাতে শীতের তীব্রতা প্রচন্ড বেড়ে যায়। তবে দিনের বেলা সুর্যের তাপে বাড়তে থাকে।
এখন বোরো ধান লাগানোর মৌসুম হওয়ায় এই কনকনে শীত উপেক্ষা করেই কৃষকরা বোরো ক্ষেতে চারা রোপণ করছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, অন্য সময়ের তুলনায় এখন ঠান্ডাজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।