রমজানের দুই মাস বাকি থাকলেও এরই মধ্যে পণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নতুন করে বেড়েছে ডিম, আদা, রসুন, ছোলা, মসুর ডাল, জিরা ও মসলাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম। এর মধ্যে গত এক মাসে কাঁচা মরিচের কেজিতে দাম বেড়েছে ১২২ শতাংশেরও বেশি। নিয়ন্ত্রণে নেই বাজারের পণ্যমূল্য।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম সবজি হওয়া সত্ত্বেও এখনও প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। নতুন আলুও বাজার ও মানভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা, বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, সিম প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
মৌসুম না হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি আর পটোল ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পেঁপে, মুলা, শালগমও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
বেসরকারি চাকরিজীবী আয়নাল হোসেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে তার সঙ্গে দেখা। বাজারে জিনিসপত্রের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ভরা মৌসুমেও একটা লাউয়ের দাম ১০০ টাকা, মোটামুটি মানের এক কেজি চাল এখনও ষাট-সত্তর টাকা, ৭০০ টাকার নিচে ভালো গরুর মাংস পাওয়াই যয় না। চিনি-তেল-আটার কথা তো বাদ-ই দিলাম। বোঝেন তাহলে বাজারে দামের কি অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে দুই একটা জিনিসের দাম বাড়লে তাতেই হিমশিম খেতাম। আর এখন সবকিছুর দামই বাড়তি। গত সাত আটটা মাস কিভাবে যে চলছি।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণ সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম। সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকরা পুরোপুরি ফসল তুলতে পারছেন না। যে কারণে সরবরাহ কমেছে। দামও একটু বেড়েছে। তবে কুয়াশা কমে আসলে সবজির সরবরাহ বাড়বে।
এ সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ার পেছনে ইজতেমার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইজতেমার কারণে সবজিতে বাড়তি চাপ পড়েছে, রোববার ইজতেমা শেষ হলে সবজির দাম কমতে পাড়ে।’
বাজার ঘুরে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দামে চড়া ভাব দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির লাল এক ডজন ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম দাম কিছুটা বাড়ছে।
বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৯০০ গ্রাম ওজনের রুই ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে আর এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মলা ৩৫০ টাকা, আকার ভেদে শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, আকার ভেদে টেংরাও ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি চাষের মাছ পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।, সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমনের ভরা মৌসুমেও খোলা বাজারে চালের দামে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৮ টাকায় আর মিনিকেটের দাম কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা মসুর ডাল (বড় দানা) কিনতে লাগছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এই মানের ডাল বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। দেশি মসুর (ছোট দানার) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এছাড়া এক সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডালের দাম এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আর মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুন ৬০ শতাংশ ও আমদানি করা রসুনের দাম ২৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বেড়েছে আদার দামও। আমদানি ঋণপত্র কম খোলার প্রভাবে বাজারে আদা-রসুনের সরবরাহ কম। তাতে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে। জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনে ও তেজপাতার দামও বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল বৃহস্পতিবারের বাজারদরের তালিকার তথ্যমতে, দেশি ও আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৪ শতাংশ।
টিসিবির হিসাবে বাজারে এখন দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এক মাস আগে দেশি রসুনের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদিকে দেশি আদার দাম এক মাস আগের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী ভা-ারের স্বত্বাধিকারী আবদুল মাজেদ বলেন, ঋণপত্র খুলতে না পারার জটিলতার কারণে আমদানি কম হচ্ছে। তাতে মসলাজাতীয় পণ্যের বাজারের ওপর প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে এসব পণ্যের ঋণপত্র খোলা নিয়মিত চালু রাখে, সরকারের কাছে সেই দাবি জানান এই ব্যবসায়ী।
টিসিবির হিসাবে গত এক মাসে বাজারে জিরার দাম ১৭ শতাংশ বেড়ে এখন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মসলার মধ্যে লবঙ্গ ১০ শতাংশ, তেজপাতা ১৯ শতাংশ, ধনিয়া ৪ শতাংশ ও দারুচিনির ১ শতাংশ দাম বেড়েছে। তবে টিসিবির হিসাবের চেয়ে বাজারের প্রকৃত দাম আরও বেশি। মহাখালী বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়; যা টিসিবির দেখানো সর্বোচ্চ দাম থেকে আরও ১০০ টাকা বেশি।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রমজানের দুই মাস বাকি থাকলেও এরই মধ্যে পণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নতুন করে বেড়েছে ডিম, আদা, রসুন, ছোলা, মসুর ডাল, জিরা ও মসলাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম। এর মধ্যে গত এক মাসে কাঁচা মরিচের কেজিতে দাম বেড়েছে ১২২ শতাংশেরও বেশি। নিয়ন্ত্রণে নেই বাজারের পণ্যমূল্য।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম সবজি হওয়া সত্ত্বেও এখনও প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। নতুন আলুও বাজার ও মানভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা, বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, সিম প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
মৌসুম না হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি আর পটোল ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পেঁপে, মুলা, শালগমও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
বেসরকারি চাকরিজীবী আয়নাল হোসেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে তার সঙ্গে দেখা। বাজারে জিনিসপত্রের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ভরা মৌসুমেও একটা লাউয়ের দাম ১০০ টাকা, মোটামুটি মানের এক কেজি চাল এখনও ষাট-সত্তর টাকা, ৭০০ টাকার নিচে ভালো গরুর মাংস পাওয়াই যয় না। চিনি-তেল-আটার কথা তো বাদ-ই দিলাম। বোঝেন তাহলে বাজারে দামের কি অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে দুই একটা জিনিসের দাম বাড়লে তাতেই হিমশিম খেতাম। আর এখন সবকিছুর দামই বাড়তি। গত সাত আটটা মাস কিভাবে যে চলছি।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণ সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম। সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকরা পুরোপুরি ফসল তুলতে পারছেন না। যে কারণে সরবরাহ কমেছে। দামও একটু বেড়েছে। তবে কুয়াশা কমে আসলে সবজির সরবরাহ বাড়বে।
এ সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ার পেছনে ইজতেমার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইজতেমার কারণে সবজিতে বাড়তি চাপ পড়েছে, রোববার ইজতেমা শেষ হলে সবজির দাম কমতে পাড়ে।’
বাজার ঘুরে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দামে চড়া ভাব দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির লাল এক ডজন ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম দাম কিছুটা বাড়ছে।
বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৯০০ গ্রাম ওজনের রুই ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে আর এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মলা ৩৫০ টাকা, আকার ভেদে শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, আকার ভেদে টেংরাও ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি চাষের মাছ পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা তেলাপিয়া ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।, সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমনের ভরা মৌসুমেও খোলা বাজারে চালের দামে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৮ টাকায় আর মিনিকেটের দাম কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা মসুর ডাল (বড় দানা) কিনতে লাগছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এই মানের ডাল বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। দেশি মসুর (ছোট দানার) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এছাড়া এক সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডালের দাম এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আর মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুন ৬০ শতাংশ ও আমদানি করা রসুনের দাম ২৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বেড়েছে আদার দামও। আমদানি ঋণপত্র কম খোলার প্রভাবে বাজারে আদা-রসুনের সরবরাহ কম। তাতে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে। জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনে ও তেজপাতার দামও বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল বৃহস্পতিবারের বাজারদরের তালিকার তথ্যমতে, দেশি ও আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৪ শতাংশ।
টিসিবির হিসাবে বাজারে এখন দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এক মাস আগে দেশি রসুনের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদিকে দেশি আদার দাম এক মাস আগের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী ভা-ারের স্বত্বাধিকারী আবদুল মাজেদ বলেন, ঋণপত্র খুলতে না পারার জটিলতার কারণে আমদানি কম হচ্ছে। তাতে মসলাজাতীয় পণ্যের বাজারের ওপর প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে এসব পণ্যের ঋণপত্র খোলা নিয়মিত চালু রাখে, সরকারের কাছে সেই দাবি জানান এই ব্যবসায়ী।
টিসিবির হিসাবে গত এক মাসে বাজারে জিরার দাম ১৭ শতাংশ বেড়ে এখন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মসলার মধ্যে লবঙ্গ ১০ শতাংশ, তেজপাতা ১৯ শতাংশ, ধনিয়া ৪ শতাংশ ও দারুচিনির ১ শতাংশ দাম বেড়েছে। তবে টিসিবির হিসাবের চেয়ে বাজারের প্রকৃত দাম আরও বেশি। মহাখালী বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়; যা টিসিবির দেখানো সর্বোচ্চ দাম থেকে আরও ১০০ টাকা বেশি।