আমাদের (বাংলাদেশের) গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, যেকোন দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বার বার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজ বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে?
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ। তারা গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য দেন দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আমাদের (বাংলাদেশের) গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। বিদেশি কারও ফরমায়েশে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণতন্ত্র নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, যেকোন দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বার বার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজ বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কীভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে?
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ। তারা গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন, ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য দেন দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।