আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ নাগাদ পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও দুর্নীতি মুক্ত উপায়ে সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় সরকারি সেবাসমূহ পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ ডিজিটাল পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাপোর্টিং ট্রান্সপারেন্ট ই-গভর্নেন্স পলিসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। অর্ন্তভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে একটি স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে চারটি পিলারের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত চার পিলারের মধ্যে অন্যতম ই-গভর্নেন্স থেকে স্মার্ট গভর্নেন্স গড়ে তুলতে সরকার কাজ শুরু করেছে। সেবা ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে সেবা গ্রহীতাদের সময়, ভিজিট ও খরচই শুধু কমেনি। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের ব্যয় ও দুর্নীতি কমেছে। মৌলিক সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত থাকায় করোনাকালীন নিজেদের উদ্ভাবিত সমাধান দিয়েই প্রায় সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের লক্ষে স্মার্ট সরকার গঠনে অষ্টম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা তুলে ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। তাদের সঙ্গে মিলেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সরকার গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আমরা এগিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন গোপা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কনসালটেন্ট ড. সাদিক হাসান, দেবাশীষ নাগ এবং জন একহ্যানভ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ নাগাদ পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

image

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও দুর্নীতি মুক্ত উপায়ে সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় সরকারি সেবাসমূহ পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ ডিজিটাল পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাপোর্টিং ট্রান্সপারেন্ট ই-গভর্নেন্স পলিসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। অর্ন্তভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে একটি স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে চারটি পিলারের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত চার পিলারের মধ্যে অন্যতম ই-গভর্নেন্স থেকে স্মার্ট গভর্নেন্স গড়ে তুলতে সরকার কাজ শুরু করেছে। সেবা ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে সেবা গ্রহীতাদের সময়, ভিজিট ও খরচই শুধু কমেনি। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের ব্যয় ও দুর্নীতি কমেছে। মৌলিক সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত থাকায় করোনাকালীন নিজেদের উদ্ভাবিত সমাধান দিয়েই প্রায় সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের লক্ষে স্মার্ট সরকার গঠনে অষ্টম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা তুলে ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। তাদের সঙ্গে মিলেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সরকার গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আমরা এগিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন গোপা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কনসালটেন্ট ড. সাদিক হাসান, দেবাশীষ নাগ এবং জন একহ্যানভ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।