‘ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব রটানোর অভিযোগে আরও ৪ জন গ্রেপ্তার’

ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটনার দায়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ইসলামী ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ ও অন্য উপায়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলে। সম্প্রতি কিছু লোককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত কিছু ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। এছাড়া তাদের দেয়া তথ্য মতে আরও কিছু কর্মকর্তাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রাপ্ত অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কিছু সংখ্যক স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিল। পরবর্তীতে এ ব্যাংকটি যখন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের হাত থেকে এস আলমগ্রুপসহ অন্যান্যদের হাতে আসে, তখন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পায়তারা শুরু করে। ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পাশাপাশি তারা দেশের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল।

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব রটনার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মো. সাইদ উল্লা, মো. মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজুমদার, ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান।

কতিপয় ব্যক্তি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ডিএমপি ঢাকার ডিবি সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে বিষয়টি আসে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত করে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেশে ও দেশের বাহিরে অবস্থানরত স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় দেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মনগড়া তথ্য উপাত্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করছেন।

‘গ্রেপ্তারকৃতরা এস আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব চালিয়ে আসছে। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নেইসহ নানাবিধ গুজব রটানোর কাজে তারা জড়িত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণায় জড়িত ছিলেন। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল গ্রেপ্তার করা ৪ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে।

আরও খবর
উন্নয়নের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করুন
দেশের মানুষ উগ্রবাদ-সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিংহ শাবক রাসেল-টুম্পা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু আজ
তারেক-জোবায়দাকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ পিপিপিতে
শহীদ আসাদ দিবস আজ
যৌতুকের জন্য ১৭তম স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নেপথ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পুনঃতদন্তের দাবি
বাংলাদেশের পক্ষে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিজল ব্যাংকের আপিল
দ্বিতীয় ধাপে বিশ্ব ইজতেমা, জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল
কুড়িগ্রামে শিক্ষককে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা
১৭ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চিকিৎসা পেশায় থেকে নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করাই ছিল তার কাজ

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

‘ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব রটানোর অভিযোগে আরও ৪ জন গ্রেপ্তার’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটনার দায়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ইসলামী ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ ও অন্য উপায়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলে। সম্প্রতি কিছু লোককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত কিছু ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। এছাড়া তাদের দেয়া তথ্য মতে আরও কিছু কর্মকর্তাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রাপ্ত অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কিছু সংখ্যক স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিল। পরবর্তীতে এ ব্যাংকটি যখন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের হাত থেকে এস আলমগ্রুপসহ অন্যান্যদের হাতে আসে, তখন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পায়তারা শুরু করে। ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পাশাপাশি তারা দেশের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল।

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব রটনার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মো. সাইদ উল্লা, মো. মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজুমদার, ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান।

কতিপয় ব্যক্তি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ডিএমপি ঢাকার ডিবি সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে বিষয়টি আসে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত করে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেশে ও দেশের বাহিরে অবস্থানরত স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় দেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মনগড়া তথ্য উপাত্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করছেন।

‘গ্রেপ্তারকৃতরা এস আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব চালিয়ে আসছে। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নেইসহ নানাবিধ গুজব রটানোর কাজে তারা জড়িত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণায় জড়িত ছিলেন। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল গ্রেপ্তার করা ৪ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে।