প্রতিভাবান উশুকা নিরঞ্জনের জীবন যুদ্ধ

‘কতদিন যে অর্ধপেটে ছিলাম, তা বলে বুঝানো যাবে না। অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে বাবা আমাদের দুই ভাইকে পড়াশোনা করিয়েছেন। এখন আমি উশু খেলে আনসারে চাকরি পেয়ে সংসার চালাতে বাবাকেও সহযোগিতা করতে পারি’, গতকাল কথাগুলো বলেন মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান জাতীয় উশুতে প্রথমবার নানচুয়ানে স্বর্ণ ও নানদাওতে ব্রোঞ্জ জেতা নিরঞ্জন সাহা। রাজশাহীর আমচত্বর থানার সন্দেশপুর গ্রামের ছেলে নিরঞ্জন। সংসারের অর্থাভাব তাকে টেনে নিয়ে গেছে খেলায়। নিরঞ্জনের কথায়, ‘অন্যের জমিতে চাষ করে বাবা নিতেন সাহা আমাদের চালাতে পারছিলেন না। তাই তিনি আমাকে তাগিদ দেন কিছু করার। সেই তাগিদ থেকেই আমি রাজশাহীর উশু অ্যাসোসিয়েশনে ভর্তি হই ২০১৭ সালে। এখন দশম শ্রেণীতে পড়ি। আনসারে ভাতায় খেলছি। যে ভাতা পাই তা দিয়ে সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করি এবং পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া ছোট ভাইকেও সাহায্য করি।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, ‘নিরঞ্জন সাহা প্রতিভাবান একজন উশুকা। আমরা তাকে নিয়ে দক্ষিণ এশীয় গেমসে পদকের স্বপ্ন দেখছি।’

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৬ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

প্রতিভাবান উশুকা নিরঞ্জনের জীবন যুদ্ধ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

‘কতদিন যে অর্ধপেটে ছিলাম, তা বলে বুঝানো যাবে না। অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করে বাবা আমাদের দুই ভাইকে পড়াশোনা করিয়েছেন। এখন আমি উশু খেলে আনসারে চাকরি পেয়ে সংসার চালাতে বাবাকেও সহযোগিতা করতে পারি’, গতকাল কথাগুলো বলেন মিরপুর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান জাতীয় উশুতে প্রথমবার নানচুয়ানে স্বর্ণ ও নানদাওতে ব্রোঞ্জ জেতা নিরঞ্জন সাহা। রাজশাহীর আমচত্বর থানার সন্দেশপুর গ্রামের ছেলে নিরঞ্জন। সংসারের অর্থাভাব তাকে টেনে নিয়ে গেছে খেলায়। নিরঞ্জনের কথায়, ‘অন্যের জমিতে চাষ করে বাবা নিতেন সাহা আমাদের চালাতে পারছিলেন না। তাই তিনি আমাকে তাগিদ দেন কিছু করার। সেই তাগিদ থেকেই আমি রাজশাহীর উশু অ্যাসোসিয়েশনে ভর্তি হই ২০১৭ সালে। এখন দশম শ্রেণীতে পড়ি। আনসারে ভাতায় খেলছি। যে ভাতা পাই তা দিয়ে সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করি এবং পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া ছোট ভাইকেও সাহায্য করি।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, ‘নিরঞ্জন সাহা প্রতিভাবান একজন উশুকা। আমরা তাকে নিয়ে দক্ষিণ এশীয় গেমসে পদকের স্বপ্ন দেখছি।’