ছুটির দিনে লোকে লোকারণ্য লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

জমে উঠছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শুরু হওয়া মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়ার পর মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের তৃতীয় দিন শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারন্য। সরকারি ছুটির দিন থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন লোকজ উৎসবে। মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন স্টল থেকে কেনাকাটা করেছেন আগত পর্যটকরা। দোকানীরাও খুশি শুক্রবারের ক্রেতা সমাগমে।

কুষ্টিয়া থেকে আগত দর্শনার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি নিউ ঢাকার স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এসেছেন লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। দেশীয় হাতের তৈরী পন্য ক্রয় করেছেন তারা। কুমিল্লা থেকে আগত মিলা আক্তার, সুইটি, জলি আক্তার, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে রুনা বেগম, কলি আক্তার, রোমান, সাভার থেকে নিলাঞ্জনা, পাপিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীরা জানান, তাদের কারো স্বামী কারো বাবা চাকুরি করেন। শুক্রবার ছুটির দিন থাকার সুবাদে এসেছেন লোকজ উৎসবে। তারাও হাতের তৈরী কাঠের, তাঁতের বিভিন্ন পন্য ক্রয় করেছেন। লোকজ মেলায় এসে তারা মুগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন কারু পন্য দেখে ও ক্রয় করে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে। মেলা চলাকালীন সময়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগামী এক মাস। এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পিদের প্রদর্শনীর জন্য ৩২ স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পেয়েছে।

রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৭ মাঘ ১৪২৯, ২৭ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ছুটির দিনে লোকে লোকারণ্য লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

image

জমে উঠছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শুরু হওয়া মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়ার পর মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের তৃতীয় দিন শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারন্য। সরকারি ছুটির দিন থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন লোকজ উৎসবে। মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন স্টল থেকে কেনাকাটা করেছেন আগত পর্যটকরা। দোকানীরাও খুশি শুক্রবারের ক্রেতা সমাগমে।

কুষ্টিয়া থেকে আগত দর্শনার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি নিউ ঢাকার স্ক্যান সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে এসেছেন লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে। দেশীয় হাতের তৈরী পন্য ক্রয় করেছেন তারা। কুমিল্লা থেকে আগত মিলা আক্তার, সুইটি, জলি আক্তার, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে রুনা বেগম, কলি আক্তার, রোমান, সাভার থেকে নিলাঞ্জনা, পাপিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীরা জানান, তাদের কারো স্বামী কারো বাবা চাকুরি করেন। শুক্রবার ছুটির দিন থাকার সুবাদে এসেছেন লোকজ উৎসবে। তারাও হাতের তৈরী কাঠের, তাঁতের বিভিন্ন পন্য ক্রয় করেছেন। লোকজ মেলায় এসে তারা মুগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন কারু পন্য দেখে ও ক্রয় করে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে। মেলা চলাকালীন সময়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগামী এক মাস। এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পিদের প্রদর্শনীর জন্য ৩২ স্টলসহ মোট ১০০টি স্টল স্থান পেয়েছে।