অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল অফিস সহকারী

শ্রীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। কলেজটির বাৎসরিক অডিটে এই অর্থ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। কলেজটির অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু এই অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে। পরে আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তে তার সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা হলেও তা কার্যকর হয়নি। এসব বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি দায়িত্তশীলরা।

কলেজের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত অফিস সহকারী টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়ে নন জুডশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার অপু দুই লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও জমা করেছে মাত্র ৪০ হাজার।

সূত্রটি আরো জানায়, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় সরকারি এই কলেজের ব্যাংক হিসাবের ১০/১২টি চেকের মাধ্যমে স্বাক্ষর জাল করে পর্যায়ক্রমে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে এই টাকা আত্মসাৎ করে অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু। ২০২২ সালের পুরো বছর জুড়েই অর্থ আত্মসাৎ করে। সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুধু স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ২ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা একটি পোস্ট নিজের ফেইসবুক থেকে শেয়ার করে অফিস সহকারী। এনিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও সে এই অপরাধ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠায় কাউকে তিনি পরোয়া করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শ্রীনগর উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার সিরাজের ছেলে রায়হান ইসলাম অপুর বাড়ি ফরিদপুরে। রায়হান ইসলাম অপুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন কিছু বলবো না। আপনাদের পরে বলবো।

শ্রীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মাহবুব সরফরাজের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ফোনে বলা যাবে না বলেই ফোনটি রেখে দেন।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল অফিস সহকারী

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

শ্রীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। কলেজটির বাৎসরিক অডিটে এই অর্থ কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। কলেজটির অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু এই অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে। পরে আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তে তার সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা হলেও তা কার্যকর হয়নি। এসব বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি দায়িত্তশীলরা।

কলেজের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত অফিস সহকারী টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়ে নন জুডশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার অপু দুই লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও জমা করেছে মাত্র ৪০ হাজার।

সূত্রটি আরো জানায়, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় সরকারি এই কলেজের ব্যাংক হিসাবের ১০/১২টি চেকের মাধ্যমে স্বাক্ষর জাল করে পর্যায়ক্রমে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে এই টাকা আত্মসাৎ করে অফিস সহকারী রায়হান ইসলাম অপু। ২০২২ সালের পুরো বছর জুড়েই অর্থ আত্মসাৎ করে। সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুধু স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ২ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা একটি পোস্ট নিজের ফেইসবুক থেকে শেয়ার করে অফিস সহকারী। এনিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও সে এই অপরাধ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠায় কাউকে তিনি পরোয়া করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শ্রীনগর উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার সিরাজের ছেলে রায়হান ইসলাম অপুর বাড়ি ফরিদপুরে। রায়হান ইসলাম অপুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন কিছু বলবো না। আপনাদের পরে বলবো।

শ্রীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মাহবুব সরফরাজের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ফোনে বলা যাবে না বলেই ফোনটি রেখে দেন।