রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে : ইসি সচিব

২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।

সংসদ সদস্যদের ভোটে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাই সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকলে অধিবেশন ডাকতে হয়। সংসদের চলমান অধিবেশন শেষ হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। এরমধ্যে তফসিল ঘোষণার পর একক প্রার্থী হলে নির্বাচনেরও প্রয়োজন হবে না। একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোন অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।

স্পিকার আরও বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওইদিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে।

ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।

২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এই পদে আর কোন প্রার্থী না থাকায় ৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন একমাত্র প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

কমিশন বৈঠকে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটে জামানত দ্বিগুণ করার প্রস্তাব এসেছে বলেও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শূন্য আসনে নির্বাচনের সময় ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, সংবিধানে নারী আসন ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী আইনে এখনও ৪৫টি আছে। তাই আইনের ৪৫ থেকে ৫০টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুপারিশগুলো কমিশন সভায় অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর কেবিনেট হয়ে সংসদে যাবে। এরপর পাস হবে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে : ইসি সচিব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।

সংসদ সদস্যদের ভোটে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাই সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকলে অধিবেশন ডাকতে হয়। সংসদের চলমান অধিবেশন শেষ হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। এরমধ্যে তফসিল ঘোষণার পর একক প্রার্থী হলে নির্বাচনেরও প্রয়োজন হবে না। একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোন অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।

স্পিকার আরও বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওইদিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে।

ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।

২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এই পদে আর কোন প্রার্থী না থাকায় ৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন একমাত্র প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

কমিশন বৈঠকে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটে জামানত দ্বিগুণ করার প্রস্তাব এসেছে বলেও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শূন্য আসনে নির্বাচনের সময় ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, সংবিধানে নারী আসন ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী আইনে এখনও ৪৫টি আছে। তাই আইনের ৪৫ থেকে ৫০টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুপারিশগুলো কমিশন সভায় অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর কেবিনেট হয়ে সংসদে যাবে। এরপর পাস হবে।