‘পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ইউক্রেনে মানুষ মরছে’

ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে জার্মানি। একইভাবে রাশিয়ার ভয়ে ইউরোপীয় এবং পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বিভিন্ন সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে প্রায়ই সিদ্ধান্তহীনতায় থাকে। আর এ কারণে দিন দিন ইউক্রেনের আরও মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক।

পোডোলিয়াক টুইট করেছেন, ‘আজকের সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের আরও বেশি লোককে হত্যা করছে। যত দেরি হবে, তত বাড়বে ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু। দ্রুত চিন্তা করুন।’ উক্রেনকে অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে দেয়া এক টুইটে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। তবে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী ট্যাংকসহ আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র চায়। তবে নানা কারণে ইউক্রেনকে সেসব অস্ত্র দিতে দ্বিধায় রয়েছে পশ্চিমারা। আর এরপরই পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতা ইউক্রেনীয় জনগণকে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

‘বিশ্বব্যাপী সিদ্ধান্তহীনতা’ ‘আমাদের আরও বেশি লোককে হত্যা করছে’ বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে ইউক্রেনকে লিওপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করার বিষয়ে জার্মানি সিদ্ধান্তহীন থাকার মধ্যেই এই অভিযোগ তুলল দেশটি।

৫০টি দেশ গত শুক্রবার ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ান ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ান বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রও কিয়েভকে দেয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া কিয়েভকে অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। তবে বৈঠকের পরে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, ‘লিওপার্ড ট্যাংকের বিষয়ে আমরা এখনও বলতে পারি না কখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং সিদ্ধান্ত কী হবে।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড ২ ট্যাংক চায় ইউক্রেন। বেশ কয়েকটি মিত্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছে, জার্মান এই ট্যাংক রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের লড়াইয়ের জন্য অপরিহার্য।

মূলত গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে ট্যাংক দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু জার্মান ট্যাংক চেয়েছে দেশটি। ইউক্রেনের দাবি শোনার পর পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তাদের কাছে ওই জার্মান ট্যাংক আছে। জার্মানি সবুজ সংকেত দিলেই তারা ওই ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে।

কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছিলেন, সব দিক বিবেচনা করে, সবাইর সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও অ্যাব্রাম ট্যাংক চেয়েছিল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, এই ধরনের অত্যাধুনিক ট্যাংক এখন ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। এই ধরনের ট্যাংক চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইউক্রেনের সেনাকে এখন সেই প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাদের ট্যাংক দেয়া হচ্ছে না।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অ্যাব্রাম ট্যাংক দিলে তবেই জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। লিওপার্ড ২ ট্যাংকও অত্যাধুনিক। যা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাতেই স্পষ্ট, ইউক্রেনকে এখন ট্যাংক দেয়া হবে না। ফলে জার্মানিও সেই একই পথে হাঁটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মানিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বার্লিনে কয়েকশ মানুষ জার্মানিকে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে ফেডারেল চ্যান্সেলারি ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন।

এদিকে, লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করেছে ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ। রেজনিকভ জানিয়েছেন, জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার খোলামেলা আলাপ হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

লেপার্ড ২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়—এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।

এ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এ ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখ- বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুেদ্ধ এত দিন দুই পক্ষই সোভিয়েত যুগের ট্যাংক ব্যবহার করে আসছে। সেখানে লেপার্ড ২ -এর মতো আধুনিক যুদ্ধট্যাংক ব্যবহৃত হলে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য করবে।

image

রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন, তবে মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী ট্যাংকসহ আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র চায় -বিবিসি

আরও খবর
বাইডেনের বাড়ি থেকে আরও গোপন নথি উদ্ধার
চীনে ৮০ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত
ব্রাজিলে দাঙ্গার ঘটনায় সেনাপ্রধান বরখাস্ত
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লাখো জনতার বিক্ষোভ

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

‘পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ইউক্রেনে মানুষ মরছে’

image

রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন, তবে মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী ট্যাংকসহ আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র চায় -বিবিসি

ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে জার্মানি। একইভাবে রাশিয়ার ভয়ে ইউরোপীয় এবং পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বিভিন্ন সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে প্রায়ই সিদ্ধান্তহীনতায় থাকে। আর এ কারণে দিন দিন ইউক্রেনের আরও মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক।

পোডোলিয়াক টুইট করেছেন, ‘আজকের সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের আরও বেশি লোককে হত্যা করছে। যত দেরি হবে, তত বাড়বে ইউক্রেনীয়দের মৃত্যু। দ্রুত চিন্তা করুন।’ উক্রেনকে অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে দেয়া এক টুইটে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। তবে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী ট্যাংকসহ আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র চায়। তবে নানা কারণে ইউক্রেনকে সেসব অস্ত্র দিতে দ্বিধায় রয়েছে পশ্চিমারা। আর এরপরই পশ্চিমাদের সিদ্ধান্তহীনতা ইউক্রেনীয় জনগণকে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

‘বিশ্বব্যাপী সিদ্ধান্তহীনতা’ ‘আমাদের আরও বেশি লোককে হত্যা করছে’ বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে ইউক্রেনকে লিওপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করার বিষয়ে জার্মানি সিদ্ধান্তহীন থাকার মধ্যেই এই অভিযোগ তুলল দেশটি।

৫০টি দেশ গত শুক্রবার ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ান ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ান বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রও কিয়েভকে দেয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া কিয়েভকে অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। তবে বৈঠকের পরে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, ‘লিওপার্ড ট্যাংকের বিষয়ে আমরা এখনও বলতে পারি না কখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং সিদ্ধান্ত কী হবে।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড ২ ট্যাংক চায় ইউক্রেন। বেশ কয়েকটি মিত্র ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছে, জার্মান এই ট্যাংক রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের লড়াইয়ের জন্য অপরিহার্য।

মূলত গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে ট্যাংক দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু জার্মান ট্যাংক চেয়েছে দেশটি। ইউক্রেনের দাবি শোনার পর পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তাদের কাছে ওই জার্মান ট্যাংক আছে। জার্মানি সবুজ সংকেত দিলেই তারা ওই ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে।

কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছিলেন, সব দিক বিবেচনা করে, সবাইর সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও অ্যাব্রাম ট্যাংক চেয়েছিল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, এই ধরনের অত্যাধুনিক ট্যাংক এখন ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। এই ধরনের ট্যাংক চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইউক্রেনের সেনাকে এখন সেই প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাদের ট্যাংক দেয়া হচ্ছে না।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অ্যাব্রাম ট্যাংক দিলে তবেই জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। লিওপার্ড ২ ট্যাংকও অত্যাধুনিক। যা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাতেই স্পষ্ট, ইউক্রেনকে এখন ট্যাংক দেয়া হবে না। ফলে জার্মানিও সেই একই পথে হাঁটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মানিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বার্লিনে কয়েকশ মানুষ জার্মানিকে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে ফেডারেল চ্যান্সেলারি ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন।

এদিকে, লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ নিয়ে জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করেছে ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ। রেজনিকভ জানিয়েছেন, জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার খোলামেলা আলাপ হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

লেপার্ড ২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়—এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।

এ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এ ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখ- বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুেদ্ধ এত দিন দুই পক্ষই সোভিয়েত যুগের ট্যাংক ব্যবহার করে আসছে। সেখানে লেপার্ড ২ -এর মতো আধুনিক যুদ্ধট্যাংক ব্যবহৃত হলে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য করবে।