মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি

গতকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতে আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। টঙ্গীর তুরাগ তীরে সমবেত হয়ে অশ্রুভেজা চোখে মুসল্লিরা দেশ জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ করেন। গতকাল দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ৪৫মিনিটে শেষ হয়। ৩০ মিনিটব্যাপী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।

আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নায় বুক ভাসান মুসল্লিরা। গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের সঠিক পথে চলা এবং মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত প্রার্থনা করা হয়। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি স্রষ্টার দরবারে কান্নাকাটি করেন। লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আমিন-আমিন।

আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আখেরি মোনাজাতে দিন গতকাল সকাল থেকে গাজীপুর, ঢাকাসহ আশপাশের জেলা ও অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে। পুরুষের পাশাপাশি আশপাশের সড়ক ও খালি জায়গায় বসে বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুরাও অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে। সকাল থেকে আসা মুসল্লিরা ময়দানে জায়গা না পেয়ে সড়ক ও খালি জায়গায় পত্রিকা, চট, পাটি, পলিথিন, ত্রিপল বিছিয়ে বসে আখেরি মোনাজাতের শরিক হন। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের ছাদ, বাড়ি ও কলকারখানার ছাদ, তুরাগ নদে নৌকায় বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।

আখেরি মোনাজাতের দিন বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন। পরে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আশরাফুল। এরপর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন। মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ও র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।

এদিকে শনিবার রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও কামারপাড়া সড়কসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বিশ্ব ইজতেমায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দেশীয় পর্যটনের প্রচারণা

বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানসহ দেশীয় পর্যটনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে বিশেষ প্রচারণা চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়।

পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় রিলিজিয়াস ট্যুরিজমকে (ধর্মীয় পর্যটন)। এটাকে বিশেষ আগ্রহের পর্যটনও বলা হয়, যা সাধারণত নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারীদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পর্যটকরা সাধারণত পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন।

গতকাল এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমায় বাংলাদেশের রিলিজিয়াস ট্যুরিজমের প্রচারের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সেবা দেয়া হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পাসপোর্ট হারানো, মোবাইল হারানো, সিম কার্ড প্রাপ্তি এবং চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমা শেষে বিদেশি মেহমানরা বাংলাদেশের কোথাও চিল্লায় যেতে চাইলে বা বাংলাদেশের কোন ধর্মীয় ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশি মুসল্লিরা যাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পেতে পারে সেজন্য তাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের হটলাইন নম্বর (০১৩২০-২২২২২২, ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭) সংবলিত কার্ড সরবরাহের পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশের ইসলামিক স্থাপনা ও হেরিটেজ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয়।

জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার মোনাজাতে অংশগ্রহণ

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাভেদ ওমর, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাহাদাত হোসেন রাজীব ও ইলিয়াস সানিসহ অনেকে। মুফতি ওসামার জামাতের সঙ্গী হিসেবে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে এসেছেন এ ক্রিকেটাররা।

এবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে আসা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারী দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি। পরে গত বৃহস্পতিবার বাদ আসর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এই পর্বে অংশ নেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা। একইভাবে গতকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের (২০২৩ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।

image

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হলো গতকাল, মুসল্লিরা ফের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ট্রেনে বাড়ি ফেরেন -সংবাদ

আরও খবর
বিএনপির ঘরে গণতন্ত্র নেই কেন জিজ্ঞেস করুন
সীমান্ত পরিস্থিতি চীনকে জানালো বাংলাদেশ
খাদ্য নিরাপত্তায় উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে
সরকারি খরচে ৭ বছরে হজে ১৯১৮ জন
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে প্র্যাকটিসের সুবিধা দিতে চাই
হঠাৎ সংবর্ধিত প্রবাসী আ’লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান, কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ব্যয় কমানোর পরামর্শ নসরুল হামিদের
চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি
পঞ্চগড়ের দয়াল ইংরেজিতে কনটেন্ট তৈরি করে নেট দুনিয়ায় সাড়া জাগিয়েছে
মুগদা-ঢামেক ছুটেও ছুরিকাহত যুবককে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক
‘সাঁতাও’ : প্রিমিয়ারে বিপুল সাড়া, তবু হল পাচ্ছে না!

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি

ওয়াজ উদ্দিন, টঙ্গী

image

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হলো গতকাল, মুসল্লিরা ফের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ট্রেনে বাড়ি ফেরেন -সংবাদ

গতকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতে আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। টঙ্গীর তুরাগ তীরে সমবেত হয়ে অশ্রুভেজা চোখে মুসল্লিরা দেশ জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ করেন। গতকাল দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ৪৫মিনিটে শেষ হয়। ৩০ মিনিটব্যাপী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।

আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নায় বুক ভাসান মুসল্লিরা। গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের সঠিক পথে চলা এবং মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত প্রার্থনা করা হয়। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি স্রষ্টার দরবারে কান্নাকাটি করেন। লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আমিন-আমিন।

আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আখেরি মোনাজাতে দিন গতকাল সকাল থেকে গাজীপুর, ঢাকাসহ আশপাশের জেলা ও অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে। পুরুষের পাশাপাশি আশপাশের সড়ক ও খালি জায়গায় বসে বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশুরাও অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে। সকাল থেকে আসা মুসল্লিরা ময়দানে জায়গা না পেয়ে সড়ক ও খালি জায়গায় পত্রিকা, চট, পাটি, পলিথিন, ত্রিপল বিছিয়ে বসে আখেরি মোনাজাতের শরিক হন। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের ছাদ, বাড়ি ও কলকারখানার ছাদ, তুরাগ নদে নৌকায় বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।

আখেরি মোনাজাতের দিন বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন। পরে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আশরাফুল। এরপর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন। মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ও র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।

এদিকে শনিবার রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও কামারপাড়া সড়কসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বিশ্ব ইজতেমায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দেশীয় পর্যটনের প্রচারণা

বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানসহ দেশীয় পর্যটনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে বিশেষ প্রচারণা চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়।

পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় রিলিজিয়াস ট্যুরিজমকে (ধর্মীয় পর্যটন)। এটাকে বিশেষ আগ্রহের পর্যটনও বলা হয়, যা সাধারণত নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারীদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পর্যটকরা সাধারণত পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন।

গতকাল এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমায় বাংলাদেশের রিলিজিয়াস ট্যুরিজমের প্রচারের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সেবা দেয়া হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পাসপোর্ট হারানো, মোবাইল হারানো, সিম কার্ড প্রাপ্তি এবং চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমা শেষে বিদেশি মেহমানরা বাংলাদেশের কোথাও চিল্লায় যেতে চাইলে বা বাংলাদেশের কোন ধর্মীয় ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশি মুসল্লিরা যাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পেতে পারে সেজন্য তাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের হটলাইন নম্বর (০১৩২০-২২২২২২, ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭) সংবলিত কার্ড সরবরাহের পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশের ইসলামিক স্থাপনা ও হেরিটেজ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয়।

জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার মোনাজাতে অংশগ্রহণ

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাভেদ ওমর, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাহাদাত হোসেন রাজীব ও ইলিয়াস সানিসহ অনেকে। মুফতি ওসামার জামাতের সঙ্গী হিসেবে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে এসেছেন এ ক্রিকেটাররা।

এবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে আসা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারী দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি। পরে গত বৃহস্পতিবার বাদ আসর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এই পর্বে অংশ নেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা। একইভাবে গতকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের (২০২৩ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।