তিনি সিলেটের সন্তান। যুক্তরাজ্য প্রবাসী। মাঝেমধ্যেই দেশে আসেন। বিমানবন্দরে শুভাকাক্সক্ষীরা উপস্থিত থাকেন। তবে এবার দেশে আসার পর তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয়। আর সেই ব্যক্তি হলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনেয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যিনি বিগত দিনগুলো থেকে তার সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা সিলেট-২ (বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছেন। তবে সিলেট নগরবাসীর মধ্যে গত ক’দিন ধরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে। এই খবরের মধ্যেই তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে গতকাল ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী তাকে বরণ করে নিয়ে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নগরীতে নিয়ে আসেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানÑ এমন গুঞ্জন সিলেটজুড়ে। কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে ‘গ্রিন সিগন্যাল’, আবার কেউ বলছেন ‘উড়ো খবর’। তবে তাকে যেভাবে বরণ করে নেয়া হয়েছে এতে ধারণা করা হচ্ছে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে ফিরেছেন আনোয়ারুজ্জামান। যদিও পূর্বে সিলেট সিটি প্রার্থী গওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার কোন নামই ছিল না।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুর পর আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহানগর আ’লীগ নেতা আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিত চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদুর রহমান আজাদের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে গতকাল আনোয়ারুজ্জামানকে বিপুল সংবর্ধনার পর হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকটা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে, আসলে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী?
গতকাল সকালে বিমানবন্দর থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিয়ে আসেন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। পরে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি সিলেটের সন্তান। বিগত সংসদ নির্বাচনে আমি সিলেট-১ আসনের দলীয় প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের জন্য কাজ করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে গণসংযোগে অংশ নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি এই শহরেই বড় হয়েছি, পড়ালেখা করেছি। তাই সিলেট নগরীর মানুষ আমার আপনজন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে নিয়েই আমরা সবাই কাজ করবো।’
মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘মেয়র মনোনয়ন নিয়ে এখনও দলীয় কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই এখনও বলার কিছু নেই। আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। মনোনয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা মাথা পেতে নেব।’
প্রবাসীদের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘সিলেটের অসংখ্য প্রবাসী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকেন। তাদের অনেক সমস্যা। প্রায়ই তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চাই।’
বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগরের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী প্রমুখ।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
আকাশ চৌধুরী, সিলেট
তিনি সিলেটের সন্তান। যুক্তরাজ্য প্রবাসী। মাঝেমধ্যেই দেশে আসেন। বিমানবন্দরে শুভাকাক্সক্ষীরা উপস্থিত থাকেন। তবে এবার দেশে আসার পর তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয়। আর সেই ব্যক্তি হলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনেয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যিনি বিগত দিনগুলো থেকে তার সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা সিলেট-২ (বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছেন। তবে সিলেট নগরবাসীর মধ্যে গত ক’দিন ধরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে। এই খবরের মধ্যেই তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে গতকাল ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী তাকে বরণ করে নিয়ে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নগরীতে নিয়ে আসেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামানÑ এমন গুঞ্জন সিলেটজুড়ে। কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে ‘গ্রিন সিগন্যাল’, আবার কেউ বলছেন ‘উড়ো খবর’। তবে তাকে যেভাবে বরণ করে নেয়া হয়েছে এতে ধারণা করা হচ্ছে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে ফিরেছেন আনোয়ারুজ্জামান। যদিও পূর্বে সিলেট সিটি প্রার্থী গওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার কোন নামই ছিল না।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুর পর আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহানগর আ’লীগ নেতা আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিত চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদুর রহমান আজাদের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে গতকাল আনোয়ারুজ্জামানকে বিপুল সংবর্ধনার পর হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকটা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে, আসলে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী?
গতকাল সকালে বিমানবন্দর থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিয়ে আসেন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। পরে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি সিলেটের সন্তান। বিগত সংসদ নির্বাচনে আমি সিলেট-১ আসনের দলীয় প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের জন্য কাজ করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে গণসংযোগে অংশ নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি এই শহরেই বড় হয়েছি, পড়ালেখা করেছি। তাই সিলেট নগরীর মানুষ আমার আপনজন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে নিয়েই আমরা সবাই কাজ করবো।’
মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘মেয়র মনোনয়ন নিয়ে এখনও দলীয় কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই এখনও বলার কিছু নেই। আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। মনোনয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা মাথা পেতে নেব।’
প্রবাসীদের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘সিলেটের অসংখ্য প্রবাসী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকেন। তাদের অনেক সমস্যা। প্রায়ই তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চাই।’
বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগরের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী প্রমুখ।