ডেসকোতে শতভাগ ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ চালু
ঢাকার উত্তরাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ডেসকো’কে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের সহায়তা নিয়ে সেবার তথ্য গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। কোম্পানি পরিচালনায় ব্যয় সাশ্রয়ের মানসিকতা অর্জনের কথাও বলেন তিনি।
গতকাল ঢাকার মিরপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) অত্যাধুনিক তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ডেসকোর চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাওসার আমীর আলী বক্তব্য রাখেন।
দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মধ্যে ডেসকো সবার আগে শতভাগ ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ চালু করেছে। এর মাধ্যমে ডেসকোর ৬৯টি স্টেশনের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা করা যাবে। বিতরণ ব্যবস্থার রিয়েল টাইম ডেটা সংরক্ষণ ও অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ও আইপি ফোনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে স্ক্যাডায়। এছাড়া ফিডারে লোডের তারতম্য সময় অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহের মাধ্যমে দক্ষতার সঙ্গে লোড পরিচালনা করা যাবে। ফলে ডেসকোর ১২ লাখ গ্রাহক আরও উন্নত সেবা পাবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, আজকে একটি যুগান্তকারী প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে আমরা এই প্রকল্পে হাত দিয়েছিলাম। আইডিয়াটা ছিল- আমরা গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করব এবং এই তথ্য কাজে লাগিয়ে কীভাবে গ্রাহক সেবা উন্নত করা যায় সেই চেষ্টা করা। এসব ডেটা কীভাবে যে ভবিষ্যতে মূল্যবান হয়ে যাবে সেটা ডেসকো একদিন বুঝতে পারবে।
এ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ছাপানো বুকলেট প্রদর্শন করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটু আগে সোশাল মিডিয়ায় খুঁজে দেখলাম, যে বুকলেট আপনারা ছাপিয়েছেন সেটা সেখানে নেই। আলটিমেটলি এটা সোশাল মিডিয়ায় নিয়ে আসতে হবে। ওয়েবসাইট এখনও সবাই দেখে না। সোশাল মিডিয়ার পেইজগুলো এখন মানুষ দেখে। সবগুলোর কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহককে ভালো সেবা এবং সুলভ মূল্যের সেবা।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খরচ ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে পারলে ট্যারিফও কমে আসবে। আরও কত প্রতিযোগিতামূলকভাবে ট্যারিফ ঠিক করা যায় সেটা চিন্তা করতে হবে।’ এধরনের প্রযুক্তি গ্রাহক সেবা উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানো ও দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
ডেসকোতে শতভাগ ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ চালু
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকার উত্তরাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ডেসকো’কে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের সহায়তা নিয়ে সেবার তথ্য গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। কোম্পানি পরিচালনায় ব্যয় সাশ্রয়ের মানসিকতা অর্জনের কথাও বলেন তিনি।
গতকাল ঢাকার মিরপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) অত্যাধুনিক তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ডেসকোর চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাওসার আমীর আলী বক্তব্য রাখেন।
দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মধ্যে ডেসকো সবার আগে শতভাগ ‘স্ক্যাডা সিস্টেম’ চালু করেছে। এর মাধ্যমে ডেসকোর ৬৯টি স্টেশনের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা করা যাবে। বিতরণ ব্যবস্থার রিয়েল টাইম ডেটা সংরক্ষণ ও অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ও আইপি ফোনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে স্ক্যাডায়। এছাড়া ফিডারে লোডের তারতম্য সময় অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহের মাধ্যমে দক্ষতার সঙ্গে লোড পরিচালনা করা যাবে। ফলে ডেসকোর ১২ লাখ গ্রাহক আরও উন্নত সেবা পাবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, আজকে একটি যুগান্তকারী প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে আমরা এই প্রকল্পে হাত দিয়েছিলাম। আইডিয়াটা ছিল- আমরা গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করব এবং এই তথ্য কাজে লাগিয়ে কীভাবে গ্রাহক সেবা উন্নত করা যায় সেই চেষ্টা করা। এসব ডেটা কীভাবে যে ভবিষ্যতে মূল্যবান হয়ে যাবে সেটা ডেসকো একদিন বুঝতে পারবে।
এ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে ছাপানো বুকলেট প্রদর্শন করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটু আগে সোশাল মিডিয়ায় খুঁজে দেখলাম, যে বুকলেট আপনারা ছাপিয়েছেন সেটা সেখানে নেই। আলটিমেটলি এটা সোশাল মিডিয়ায় নিয়ে আসতে হবে। ওয়েবসাইট এখনও সবাই দেখে না। সোশাল মিডিয়ার পেইজগুলো এখন মানুষ দেখে। সবগুলোর কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহককে ভালো সেবা এবং সুলভ মূল্যের সেবা।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খরচ ও সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে পারলে ট্যারিফও কমে আসবে। আরও কত প্রতিযোগিতামূলকভাবে ট্যারিফ ঠিক করা যায় সেটা চিন্তা করতে হবে।’ এধরনের প্রযুক্তি গ্রাহক সেবা উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানো ও দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।