তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করি : রিজওয়ান

পাকিস্তানের ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। বিশেষ করে টি-২০ সংস্করণে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দিয়ে র?্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকেই রাখছেন নিজেকে। এরকম একজনকে কাছে পেলে তরুণদেরও অনেক কিছু শেখার থাকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে আসা এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার জানালেন, বাংলাদেশের তরুণরা শেখার জন্য থাকেন উদগ্রীব। বিশেষ করে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইস॥লামকে বেশ মনে ধরেছে তার।

এবার বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে চার ম্যাচ খেলেছেন রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে এসেছে এক ফিফটি। নিজের ঘরানা অনুযায়ী প্রান্ত ধরে রাখার কাজটা করে যাচ্ছেন এই ডানহাতি। স্ট্রাইকরেট কম থাকলেও একপাশে টিকে থাকার ভূমিকা পালন করছেন।

গতকাল মিরপুর অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলনের আগে জানান, কুমিল্লার ক্যাম্পে থাকা স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটাররা তাকে করছেন মুগ্ধ। বিপিএলে তাদের দেখে বাংলাদেশের আগামী বেশ উজ্জ্বল মনে হচ্ছে তার, ‘বাংলাদেশের ছেলেরা সবার কাছ থেকে শেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি অনেককে দেখছি। আমি অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে হাইলি রেট করতে চাই। সে অনেক ভালো। দলের আরও অনেকে আছে।’

এবার বিপিএলে সবগুলো দলেই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আধিক্য। অন্য দলে থাকা স্বদেশীদের কাছ থেকেও বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার কথা জানালেন রিজওয়ান, ‘তারা শুধু আমার কাছ থেকে নয়, সবার কাছ থেকেই শিখতে চায়। আমরা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা করি। বাকিরাও বলে বাংলাদেশে সবাই আমাদের কাছে আসে, এটা-ওটা প্রশ্ন করে, চাপ সামলানোর বা এসব নিয়ে জানতে চায়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করি।’

দলের চাওয়ায় ‘বিব্রতকর’ কাজটিই করে যেতে চান রিজওয়ান। টি-২০তে ওপেনারদের কাছ থেকে অনেকে বিস্ফোরক ব্যাটিং দেখতে চাইলেও পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের ভাবনায় থাকে শুধু দলীয় পরিকল্পনা।

শুধু বিপিএলে নয়, রিজওয়ানকে এই ভূমিকায় দেখা যায় আন্তর্জাতিক টি-২০তে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়েও। শুরুতে অনেকটা সময় নিয়ে পরে পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার এই ধরনের ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়ে আসছে। কখনও কখনও দলকে ভুগতেও হয়েছে। তবে অনেক সময়ই কার্যকর হয়েছে এই ব্যাটিং।

‘এটা খুব কঠিন ভূমিকা। কখনও কখনও এটাকে খুব বিব্রতকর মনে হয়। তবে নিজের কাজটা আমি জানি। দল আমার কাছে যা চায়, সেটাই করতে চাই আমি। কোচ, অধিনায়ক, মালিকপক্ষ ও পুরো কুমিল্লা দলে সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এমন একজনকে তারা চায়, যে গোটা দলের ‘অ্যাংকর’ হবে।’

‘পাকিস্তান দলে যেমন, তেমনি সব জায়গায়, যেকোন দলে খেলি না কেন, তাদের চাওয়া পূরণ করতে চাই। আমি সবসময় কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করি, প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ করি এবং সবকিছু ভেবে নিজের কাজটা করি। কখনও কখনও এটা বিব্রতকর। কারণ টি-২০তে সবাই চার-ছক্কা ভালোবাসে, ৩৫-৪০ বলে ৬০-৭০ রান দেখতে চায়। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচ জেতা এবং আমার পারফরম্যান্স যেন দলের জয়ে কাজে লাগে।’

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করি : রিজওয়ান

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল একাডেমি মাঠে কুমিল্লা দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আড্ডায় রিজওয়ান (বাঁয়ে)

পাকিস্তানের ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। বিশেষ করে টি-২০ সংস্করণে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দিয়ে র?্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকেই রাখছেন নিজেকে। এরকম একজনকে কাছে পেলে তরুণদেরও অনেক কিছু শেখার থাকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে আসা এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার জানালেন, বাংলাদেশের তরুণরা শেখার জন্য থাকেন উদগ্রীব। বিশেষ করে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইস॥লামকে বেশ মনে ধরেছে তার।

এবার বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে চার ম্যাচ খেলেছেন রিজওয়ান। তার ব্যাট থেকে এসেছে এক ফিফটি। নিজের ঘরানা অনুযায়ী প্রান্ত ধরে রাখার কাজটা করে যাচ্ছেন এই ডানহাতি। স্ট্রাইকরেট কম থাকলেও একপাশে টিকে থাকার ভূমিকা পালন করছেন।

গতকাল মিরপুর অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলনের আগে জানান, কুমিল্লার ক্যাম্পে থাকা স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটাররা তাকে করছেন মুগ্ধ। বিপিএলে তাদের দেখে বাংলাদেশের আগামী বেশ উজ্জ্বল মনে হচ্ছে তার, ‘বাংলাদেশের ছেলেরা সবার কাছ থেকে শেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি অনেককে দেখছি। আমি অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে হাইলি রেট করতে চাই। সে অনেক ভালো। দলের আরও অনেকে আছে।’

এবার বিপিএলে সবগুলো দলেই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আধিক্য। অন্য দলে থাকা স্বদেশীদের কাছ থেকেও বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার কথা জানালেন রিজওয়ান, ‘তারা শুধু আমার কাছ থেকে নয়, সবার কাছ থেকেই শিখতে চায়। আমরা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা করি। বাকিরাও বলে বাংলাদেশে সবাই আমাদের কাছে আসে, এটা-ওটা প্রশ্ন করে, চাপ সামলানোর বা এসব নিয়ে জানতে চায়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করি।’

দলের চাওয়ায় ‘বিব্রতকর’ কাজটিই করে যেতে চান রিজওয়ান। টি-২০তে ওপেনারদের কাছ থেকে অনেকে বিস্ফোরক ব্যাটিং দেখতে চাইলেও পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের ভাবনায় থাকে শুধু দলীয় পরিকল্পনা।

শুধু বিপিএলে নয়, রিজওয়ানকে এই ভূমিকায় দেখা যায় আন্তর্জাতিক টি-২০তে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়েও। শুরুতে অনেকটা সময় নিয়ে পরে পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার এই ধরনের ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়ে আসছে। কখনও কখনও দলকে ভুগতেও হয়েছে। তবে অনেক সময়ই কার্যকর হয়েছে এই ব্যাটিং।

‘এটা খুব কঠিন ভূমিকা। কখনও কখনও এটাকে খুব বিব্রতকর মনে হয়। তবে নিজের কাজটা আমি জানি। দল আমার কাছে যা চায়, সেটাই করতে চাই আমি। কোচ, অধিনায়ক, মালিকপক্ষ ও পুরো কুমিল্লা দলে সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এমন একজনকে তারা চায়, যে গোটা দলের ‘অ্যাংকর’ হবে।’

‘পাকিস্তান দলে যেমন, তেমনি সব জায়গায়, যেকোন দলে খেলি না কেন, তাদের চাওয়া পূরণ করতে চাই। আমি সবসময় কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করি, প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ করি এবং সবকিছু ভেবে নিজের কাজটা করি। কখনও কখনও এটা বিব্রতকর। কারণ টি-২০তে সবাই চার-ছক্কা ভালোবাসে, ৩৫-৪০ বলে ৬০-৭০ রান দেখতে চায়। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচ জেতা এবং আমার পারফরম্যান্স যেন দলের জয়ে কাজে লাগে।’