শীর্ষে সিলেট-বরিশাল, লড়াইয়ে কুমিল্লা, তলানিতে ঢাকা

সিলেট স্ট্রাইকার্স পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও অন্য দলগুলোও তাদের নিজ নিজ অভিযান পুনরুজ্জীবিত করতে শুরু করেছে। ফরচুন বরিশাল টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাদের প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর টানা তিনটিতে জিতেছে। খুলনা টাইগার্সও তাদের প্রথম তিন ম্যাচে হেরে শেষ দুই ম্যাচে জিতে তাদের খাতা খুলেছে।

কিন্তু একের পর এক ইনজুরি সমস্যায় ফেলেছে রংপুর রাইডার্সকে। তারা তাদের শেষ দুটি ম্যাচে হেরেছে, অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও তাদের হোম গ্রাউন্ডের ম্যাচগুলোর পুরো সুবিধা নিতে পারেনি। ঢাকা ডমিনেটররা তাদের ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে টেবিলের তলানিতে রয়েছে।

বিপিএল নবম আসরের তৃতীয় পর্বের খেলা আজ ঢাকার ফিরতি পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মুখোমুখি হবে ঢাকা ডমিনেটরের। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে রংপুর ও চট্টগ্রাম।

হ্যাটট্রিক হার দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করে কুমিল্লা। চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা। পরের দুই ম্যাচেও সহজ জয়ের স্বাদ নেয় কুমিল্লা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ও ঢাকার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয় পায় তারা। হ্যাটট্রিক জয়ে লড়াইয়ে ফিরে কুমিল্লা। ৬ ম্যাচে সমান ৩টি করে জয়-হারে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা।

কুমিল্লার হয়ে খেলতে গতকাল ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে বল হাতে নজর কেড়েছেন গত বছর টি-২০তে অভিষেক হওয়া নাসিম। ১৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট আছে তার।

নাসিমের সঙ্গে কুমিল্লায় আছেন আরও তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তারা হলেন খুশদিল শাহ, হাসান আলি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

চট্টগ্রামের মাটিতে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৪ বলের মোকাবিলায় ৭ বাউন্ডারি ও ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন খুশদিল।

এদিকে অধিনায়ক নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করার পর পরের পাঁচ ম্যাচই হেরেছে ঢাকা। ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে রাজধানীর দলটি।

একমাত্র নাসির ছাড়া দলের প্রয়োজন মতো পারফর্ম করতে পারছেন না ঢাকার ব্যাটার-বোলাররা। ব্যাট-বল হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া নাসির ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রান ও উইকেটর মালিক।

সর্বোচ্চ রানের দিক দিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নাসির। শীর্ষে থাকা ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চেয়ে মাত্র ৬ রানে পিছিয়ে নাসির। সাকিব ২৭৫ ও নাসির ২৬৯ রান করেছেন। বল হাতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নিতে হলে নাসিরের সঙ্গে দলের অন্য ব্যাটার-বোলারদেরও জ¦লে উঠতে হবে।

ইতোমধ্যে কুমিল্লার বিপক্ষে খেলেছে ঢাকা। চট্টগ্রামের মাটিতে ম্যাচটিতে প্রথম ব্যাট করে কুমিল্লা ৪ উইকেটে ১৮৪ রান করে। জবাবে ৪ উইকেটে ১৫১ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। এবার নিজেদের ডেরায় কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রতিশোধের পালা ঢাকার।

রংপুর-চট্টগ্রামের লক্ষ্য হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া

হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ বিপিএলের ২১তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে রংপুর-চট্টগ্রাম। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে রংপুর ও চট্টগ্রাম।

জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও পরের দিকে খেই হারায় রংপুর। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট তাদের। সাত দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে রংপুর।

রংপুরের দুটি জয় কুমিল্লা ও খুলনার বিপক্ষে। কুমিল্লাকে ৩৪ রানে ও খুলনাকে ৪ উইকেটে হারায় তারা।

ফরচুন বরিশালের কাছে ৬ উইকেটে ও ৬৭ রানে, খুলনার কাছে ৯ উইকেটে হারের স্বাদ পায় রংপুর।

চট্টগ্রামের মাটিতে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং বিভাগে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি রংপুরের ক্রিকেটাররা। খুলনার বিপক্ষে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। প্রথম ব্যাট করে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ১৩০ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে ফেলে খুলনা।

পরের ম্যাচে বোলারদের ব্যর্থতায় বরিশালের কাছে ম্যাচ হারে রংপুর। অবশ্য ম্যাচের শুরুতে রংপুরকে ভালো অবস্থায় রেখেছিল বোলাররাই। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের ৪৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৯২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ। সাকিব ৪৩ বল খেলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ৪৫ বলে ১০০ রান করেন ইফতেখার। বরিশালের ৪ উইকেটে ২৩৮ রানে জবাবে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তুলে ম্যাচ হারে রংপুর।

রংপুরের সমান পয়েন্ট চট্টগ্রামের। তবে ১টি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ৬ খেলায় ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের দুটি জয় খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে। খুলনাকে ৯ উইকেটে ও ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারায় তারা। চট্টগ্রাম পর্বে চার ম্যাচ খেলে শুধুমাত্র ঢাকার বিপক্ষেই জয় পায় দলটি।

ঢাকার বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা ছিল দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির। আফিফ-রাসুলির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকার ছুঁড়ে দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে চট্টগ্রাম। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচ সেরা হন আফিফ।

মারমুখী মেজাজে থাকা রাসুলি ৩৩ বলে অনবদ্য ৫৬ রান করেন।

পয়েন্ট তালিকা

দল খেলা জয় পরা পয়েন্ট নেটরান

সিলেট ৬ ৫ ১ ১০ ১.৩৩২

বরিশাল ৬ ৫ ১ ১০ ০.৯৮২

কুমিল্লা ৬ ৩ ৩ ৬ -০.০১৬

খুলনা ৫ ২ ৩ ৪ -০.০০৬

রংপুর ৫ ২ ৩ ৪ -০.৫২৩

চট্টগ্রাম ৬ ২ ৪ ৪ -০.৮০২

ঢাকা ৬ ১ ৫ ২ -১.০৮১

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৮ মাঘ ১৪২৯, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

শীর্ষে সিলেট-বরিশাল, লড়াইয়ে কুমিল্লা, তলানিতে ঢাকা

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

চট্টগ্রাম দলে পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান খুলনার বিপক্ষে ৫৮ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন

সিলেট স্ট্রাইকার্স পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও অন্য দলগুলোও তাদের নিজ নিজ অভিযান পুনরুজ্জীবিত করতে শুরু করেছে। ফরচুন বরিশাল টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাদের প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর টানা তিনটিতে জিতেছে। খুলনা টাইগার্সও তাদের প্রথম তিন ম্যাচে হেরে শেষ দুই ম্যাচে জিতে তাদের খাতা খুলেছে।

কিন্তু একের পর এক ইনজুরি সমস্যায় ফেলেছে রংপুর রাইডার্সকে। তারা তাদের শেষ দুটি ম্যাচে হেরেছে, অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও তাদের হোম গ্রাউন্ডের ম্যাচগুলোর পুরো সুবিধা নিতে পারেনি। ঢাকা ডমিনেটররা তাদের ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে টেবিলের তলানিতে রয়েছে।

বিপিএল নবম আসরের তৃতীয় পর্বের খেলা আজ ঢাকার ফিরতি পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে। প্রথম দিন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মুখোমুখি হবে ঢাকা ডমিনেটরের। খেলাটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে রংপুর ও চট্টগ্রাম।

হ্যাটট্রিক হার দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করে কুমিল্লা। চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা। পরের দুই ম্যাচেও সহজ জয়ের স্বাদ নেয় কুমিল্লা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ও ঢাকার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয় পায় তারা। হ্যাটট্রিক জয়ে লড়াইয়ে ফিরে কুমিল্লা। ৬ ম্যাচে সমান ৩টি করে জয়-হারে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা।

কুমিল্লার হয়ে খেলতে গতকাল ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে বল হাতে নজর কেড়েছেন গত বছর টি-২০তে অভিষেক হওয়া নাসিম। ১৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট আছে তার।

নাসিমের সঙ্গে কুমিল্লায় আছেন আরও তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তারা হলেন খুশদিল শাহ, হাসান আলি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

চট্টগ্রামের মাটিতে ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৪ বলের মোকাবিলায় ৭ বাউন্ডারি ও ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন খুশদিল।

এদিকে অধিনায়ক নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করার পর পরের পাঁচ ম্যাচই হেরেছে ঢাকা। ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে রাজধানীর দলটি।

একমাত্র নাসির ছাড়া দলের প্রয়োজন মতো পারফর্ম করতে পারছেন না ঢাকার ব্যাটার-বোলাররা। ব্যাট-বল হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া নাসির ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রান ও উইকেটর মালিক।

সর্বোচ্চ রানের দিক দিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নাসির। শীর্ষে থাকা ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চেয়ে মাত্র ৬ রানে পিছিয়ে নাসির। সাকিব ২৭৫ ও নাসির ২৬৯ রান করেছেন। বল হাতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নিতে হলে নাসিরের সঙ্গে দলের অন্য ব্যাটার-বোলারদেরও জ¦লে উঠতে হবে।

ইতোমধ্যে কুমিল্লার বিপক্ষে খেলেছে ঢাকা। চট্টগ্রামের মাটিতে ম্যাচটিতে প্রথম ব্যাট করে কুমিল্লা ৪ উইকেটে ১৮৪ রান করে। জবাবে ৪ উইকেটে ১৫১ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। এবার নিজেদের ডেরায় কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রতিশোধের পালা ঢাকার।

রংপুর-চট্টগ্রামের লক্ষ্য হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া

হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ বিপিএলের ২১তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে রংপুর-চট্টগ্রাম। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে রংপুর ও চট্টগ্রাম।

জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও পরের দিকে খেই হারায় রংপুর। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট তাদের। সাত দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে রংপুর।

রংপুরের দুটি জয় কুমিল্লা ও খুলনার বিপক্ষে। কুমিল্লাকে ৩৪ রানে ও খুলনাকে ৪ উইকেটে হারায় তারা।

ফরচুন বরিশালের কাছে ৬ উইকেটে ও ৬৭ রানে, খুলনার কাছে ৯ উইকেটে হারের স্বাদ পায় রংপুর।

চট্টগ্রামের মাটিতে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং বিভাগে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি রংপুরের ক্রিকেটাররা। খুলনার বিপক্ষে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। প্রথম ব্যাট করে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ১৩০ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে ফেলে খুলনা।

পরের ম্যাচে বোলারদের ব্যর্থতায় বরিশালের কাছে ম্যাচ হারে রংপুর। অবশ্য ম্যাচের শুরুতে রংপুরকে ভালো অবস্থায় রেখেছিল বোলাররাই। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের ৪৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৯২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ। সাকিব ৪৩ বল খেলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ৪৫ বলে ১০০ রান করেন ইফতেখার। বরিশালের ৪ উইকেটে ২৩৮ রানে জবাবে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তুলে ম্যাচ হারে রংপুর।

রংপুরের সমান পয়েন্ট চট্টগ্রামের। তবে ১টি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ৬ খেলায় ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের দুটি জয় খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে। খুলনাকে ৯ উইকেটে ও ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারায় তারা। চট্টগ্রাম পর্বে চার ম্যাচ খেলে শুধুমাত্র ঢাকার বিপক্ষেই জয় পায় দলটি।

ঢাকার বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা ছিল দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির। আফিফ-রাসুলির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকার ছুঁড়ে দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে চট্টগ্রাম। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচ সেরা হন আফিফ।

মারমুখী মেজাজে থাকা রাসুলি ৩৩ বলে অনবদ্য ৫৬ রান করেন।

পয়েন্ট তালিকা

দল খেলা জয় পরা পয়েন্ট নেটরান

সিলেট ৬ ৫ ১ ১০ ১.৩৩২

বরিশাল ৬ ৫ ১ ১০ ০.৯৮২

কুমিল্লা ৬ ৩ ৩ ৬ -০.০১৬

খুলনা ৫ ২ ৩ ৪ -০.০০৬

রংপুর ৫ ২ ৩ ৪ -০.৫২৩

চট্টগ্রাম ৬ ২ ৪ ৪ -০.৮০২

ঢাকা ৬ ১ ৫ ২ -১.০৮১