ইউএনওর মানবিক উদ্যোগ
রাস্তায় প্রসব পরবর্তী যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা এক অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন ইউএনও । স্থানীয় তেলিয়াপাড়া চা বাগানে গত রোববার সরকারী একটি কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে মাধবপুর ফেরার পথে বেলা ১ টা ১০ মিনিটের সময় জগদীশপুর মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পৌঁছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইউএনও মনজুর আহ্সান রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে রাস্তায় সন্তান প্রসব শেষে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে গাড়ী থামিয়ে এগিয়ে যান। তিনি গাড়ী থেকে একটি কম্বল এনে ওই মহিলাকে ঢেকে দেন। তারপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুনকে ফোন করে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম নিয়ে আসতে বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিকটস্থ জগদীশপুর পরিবার কল্যান কেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়ে নিজে দ্রুত মেডিকেল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা দেন। দ্রুত জগদীশপুর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীরা এসে মহিলাকে প্রসব পরবর্তী সেবা দিতে শুরু করেন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল হাসনাত, সিনিয়র স্টাফ নার্স আম্বিয়া খাতুন, মিডওয়াইফ রোখসানা বেগম ঘটনাস্থলে আসেন। একই সময় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চুনারুঘাট যাওয়ার পথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাকিয়া পারভিন, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল হক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রওশন আক্তার জাহান আলো ও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেন। ফুটফুটে নবজাতককে দেখে সবাই বিস্মিত ও মুগ্ধ হন। মানসিক ভারসাম্যহীণ মহিলা সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, নবজাতক ছেলে সন্তানটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যেই অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা প্রয়োজনে শিশুটিকে চাইল্ডহোমে দিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছি।
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
ইউএনওর মানবিক উদ্যোগ
প্রতিনিধি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
রাস্তায় প্রসব পরবর্তী যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা এক অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন ইউএনও । স্থানীয় তেলিয়াপাড়া চা বাগানে গত রোববার সরকারী একটি কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে মাধবপুর ফেরার পথে বেলা ১ টা ১০ মিনিটের সময় জগদীশপুর মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে পৌঁছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইউএনও মনজুর আহ্সান রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে রাস্তায় সন্তান প্রসব শেষে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে গাড়ী থামিয়ে এগিয়ে যান। তিনি গাড়ী থেকে একটি কম্বল এনে ওই মহিলাকে ঢেকে দেন। তারপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুনকে ফোন করে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম নিয়ে আসতে বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিকটস্থ জগদীশপুর পরিবার কল্যান কেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়ে নিজে দ্রুত মেডিকেল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা দেন। দ্রুত জগদীশপুর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীরা এসে মহিলাকে প্রসব পরবর্তী সেবা দিতে শুরু করেন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল হাসনাত, সিনিয়র স্টাফ নার্স আম্বিয়া খাতুন, মিডওয়াইফ রোখসানা বেগম ঘটনাস্থলে আসেন। একই সময় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চুনারুঘাট যাওয়ার পথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাকিয়া পারভিন, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল হক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রওশন আক্তার জাহান আলো ও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেন। ফুটফুটে নবজাতককে দেখে সবাই বিস্মিত ও মুগ্ধ হন। মানসিক ভারসাম্যহীণ মহিলা সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, নবজাতক ছেলে সন্তানটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যেই অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমরা প্রয়োজনে শিশুটিকে চাইল্ডহোমে দিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছি।