মির্জাগঞ্জে চার ঘর ভস্মীভূত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি টিনসেড বসতঘর, একটি রান্নাঘর, একটি গোয়ালঘর ও একটি লাকড়ির ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, দলিলপত্র ও চালডাল সহ প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। তবে এতে কোন হাতা হাতের ঘটনা ঘটেনি। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত হামেদ খান চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন আবের মল্লিক (৫৫) এর বাড়িতে আগ্নিকা-ের এ ঘটনা ঘটে। গোয়াল ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে মাঠে ধান সিদ্ধ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত আবের মল্লিকের স্ত্রী নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। তিনি মাগরিবের নামাজ শেষে হঠাৎ গোয়াল ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন এবং গরুর দড়ি কেটে বের করে দেন। আগুনের লেলিহান ও চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা তার বসতঘর, রান্নাঘর ও লাকড়ির ঘরে ছড়িয়ে পরে। এরপর মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ভুক্তভোগীর মাথা গোজার ঠাই সহ প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত আবের মল্লিক বলেন, সহায় সম্বল যা আছে সবটুকু দিয়ে তিন বছর আগে জমি কিনে এই ঘরটি উঠাইছি। কৃষি কাজ করে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে খুব শান্তিতেই দিন পার করছিলাম। কিন্তু মুহূর্তেই আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আগুনে আমার চারটি ঘর, ধান, চাল ও আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুইটি গরু, কয়েকটি টিন ও পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় থাকব! কি খাব! কিভাবে আবার ঘর তুলব! সেই চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না। আমি সরকারের কাছে ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করছি।

মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর লিডার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

.

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

মির্জাগঞ্জে চার ঘর ভস্মীভূত

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি টিনসেড বসতঘর, একটি রান্নাঘর, একটি গোয়ালঘর ও একটি লাকড়ির ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, দলিলপত্র ও চালডাল সহ প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। তবে এতে কোন হাতা হাতের ঘটনা ঘটেনি। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত হামেদ খান চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন আবের মল্লিক (৫৫) এর বাড়িতে আগ্নিকা-ের এ ঘটনা ঘটে। গোয়াল ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে মাঠে ধান সিদ্ধ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত আবের মল্লিকের স্ত্রী নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। তিনি মাগরিবের নামাজ শেষে হঠাৎ গোয়াল ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন এবং গরুর দড়ি কেটে বের করে দেন। আগুনের লেলিহান ও চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা তার বসতঘর, রান্নাঘর ও লাকড়ির ঘরে ছড়িয়ে পরে। এরপর মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ভুক্তভোগীর মাথা গোজার ঠাই সহ প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত আবের মল্লিক বলেন, সহায় সম্বল যা আছে সবটুকু দিয়ে তিন বছর আগে জমি কিনে এই ঘরটি উঠাইছি। কৃষি কাজ করে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে খুব শান্তিতেই দিন পার করছিলাম। কিন্তু মুহূর্তেই আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আগুনে আমার চারটি ঘর, ধান, চাল ও আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুইটি গরু, কয়েকটি টিন ও পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় থাকব! কি খাব! কিভাবে আবার ঘর তুলব! সেই চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না। আমি সরকারের কাছে ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করছি।

মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর লিডার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

.