দেশে প্রথম রামেকে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক ডেস্ক চালু

হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সাধারণ মানুষের সাথে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটতে তাদের পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। বিশেষ করে ছেলেদের লাইনে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো মেয়েদের লাইনে দাঁড়াতে। আর মেয়েদের লাইনে গিয়ে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো ছেলেদের লাইনে দাঁড়তে। এর কারণে তারা চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যেতেন। এতে করে অনেক সময় তারা চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতেন। পৃথক কাউন্টার চালু হওয়ায় এখন থেকে সহজেই তারা নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে চিকিৎসদের দেখাতে পারবেন। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘দিনের আলো হিজড়া সংঘে’র সভাপতি মোহনা জানান এই কথা গুলো বলেন । চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বর্হিবিভাগে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এই জনগোষ্ঠির মানুষ পূর্বের মত চিকিৎসা সেবা পেতে ভোগান্তিতে পোহাত হবে না। গত রোববার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে এই টিকিট কাউন্টারের উদ্বোধন করেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী ও হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। দেশের সরকারি কোনো হাসপাতালে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার খোলা হলো। উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগণ আলাদা কোন জাতি নয়। কিন্তু সমাজ ও সাধারণ জনগণ তাদের আলাদা করে দেখে এবং নানাভাবে হয়রানি করে। এই জনগোষ্ঠীকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের ভোটাধিকার ও পিতার সম্পদে অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করেছেন। ফলে তারা এ দেশের মানুষ। তারা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বৃহত্তর জনগোষ্ঠির ন্যায় ভোগ করবে। তিনি আরও বলেন, এটা নিশ্চিত করতে এই দেশে এই প্রথম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আলাদাভাবে টিকিট কাউন্টার খোলা হলো। এতে এই জনগোষ্ঠির কোন সদস্যকে আর হয়রানি হতে হবে না। শুধু টিকিট নয় তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন তিনি। পূর্বে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সাধারণ মানুষের সাথে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটতে তাদের পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। বিশেষ করে ছেলেদের লাইনে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো মেয়েদের লাইনে দাঁড়াতে। আর মেয়েদের লাইনে গিয়ে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো ছেলেদের লাইনে দাঁড়তে।

এর কারণে তারা চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যেতেন। এতে করে অনেক সময় তারা চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতেন। পৃথক কাউন্টার চালু হওয়ায় এখন থেকে সহজেই তারা নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে চিকিৎসদের দেখাতে পারবেন।

রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে পৃথক টিকিট কাউন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে- রাজশাহীর দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শ্যামল কুমার ঘোষ ও শরীফ সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়িতা পলি, কোষাধ্যক্ষ জুলি ও হিজড়া গুরু হিরা খানসহ তৃতীয় লিঙ্গের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

দেশে প্রথম রামেকে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক ডেস্ক চালু

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সাধারণ মানুষের সাথে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটতে তাদের পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। বিশেষ করে ছেলেদের লাইনে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো মেয়েদের লাইনে দাঁড়াতে। আর মেয়েদের লাইনে গিয়ে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো ছেলেদের লাইনে দাঁড়তে। এর কারণে তারা চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যেতেন। এতে করে অনেক সময় তারা চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতেন। পৃথক কাউন্টার চালু হওয়ায় এখন থেকে সহজেই তারা নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে চিকিৎসদের দেখাতে পারবেন। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘দিনের আলো হিজড়া সংঘে’র সভাপতি মোহনা জানান এই কথা গুলো বলেন । চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বর্হিবিভাগে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এই জনগোষ্ঠির মানুষ পূর্বের মত চিকিৎসা সেবা পেতে ভোগান্তিতে পোহাত হবে না। গত রোববার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে এই টিকিট কাউন্টারের উদ্বোধন করেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী ও হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। দেশের সরকারি কোনো হাসপাতালে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার খোলা হলো। উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগণ আলাদা কোন জাতি নয়। কিন্তু সমাজ ও সাধারণ জনগণ তাদের আলাদা করে দেখে এবং নানাভাবে হয়রানি করে। এই জনগোষ্ঠীকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের ভোটাধিকার ও পিতার সম্পদে অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করেছেন। ফলে তারা এ দেশের মানুষ। তারা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বৃহত্তর জনগোষ্ঠির ন্যায় ভোগ করবে। তিনি আরও বলেন, এটা নিশ্চিত করতে এই দেশে এই প্রথম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আলাদাভাবে টিকিট কাউন্টার খোলা হলো। এতে এই জনগোষ্ঠির কোন সদস্যকে আর হয়রানি হতে হবে না। শুধু টিকিট নয় তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন তিনি। পূর্বে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে সাধারণ মানুষের সাথে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটতে তাদের পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। বিশেষ করে ছেলেদের লাইনে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো মেয়েদের লাইনে দাঁড়াতে। আর মেয়েদের লাইনে গিয়ে দাঁড়ালে তাদেরকে বলা হতো ছেলেদের লাইনে দাঁড়তে।

এর কারণে তারা চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যেতেন। এতে করে অনেক সময় তারা চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতেন। পৃথক কাউন্টার চালু হওয়ায় এখন থেকে সহজেই তারা নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে চিকিৎসদের দেখাতে পারবেন।

রামেক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে পৃথক টিকিট কাউন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে- রাজশাহীর দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শ্যামল কুমার ঘোষ ও শরীফ সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়িতা পলি, কোষাধ্যক্ষ জুলি ও হিজড়া গুরু হিরা খানসহ তৃতীয় লিঙ্গের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।