যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত রোববার বিকেল থেকে বন্ধ রয়েছে। ঘটনা তদন্তে গতকাল পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (এমটিএস) মো. আফাজ উদ্দিন।

যমুনা সার কারখানার একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি যমুনা সার কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার থেকে মাত্রাতিরিক্ত নাইট্রোজেন নির্গত হতে থাকে। এই সমস্যা সমাধানে কারখানা কর্তৃপক্ষ এনজি বুস্টার ক্রয় ও পুনঃস্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইনগার্সল-রেন্ড (ইন্ডিয়া) লিমিটেডকে জানায়। গত রোববার কারখানা পরিদর্শনে আসে ইনগার্সল-রেন্ড কর্তৃপক্ষ। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার (সার্ভিস) ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম পরিদর্শন করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন ইনগার্সল-রেন্ডের টেরিটরি ম্যানেজার (সার্ভিস) মো. ইমামুল সর্দার এবং মার্কেটিং প্রতিনিধি কসমো মার্কেটিং কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম।

সূত্রটি আরও জানায়, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকার ওইদিন বিকেলে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শন করছিলেন। এ সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ‘ভুল বাটনে চাপ দেন’। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রথমে স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (এমটিএস) মো. আফাজ উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকার এনজি বুস্টার কমপ্রেসারের বিভিন্ন প্যারামিটার ঘুরে দেখছিলেন। পরিদর্শন চলাকালে গতকাল বিকেল পৌনে ৪টায় হঠাৎ অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের কমপ্রেসার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে।

ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে মো. আফাজ উদ্দিনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত রোববার বিকেল থেকে বন্ধ রয়েছে। ঘটনা তদন্তে গতকাল পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (এমটিএস) মো. আফাজ উদ্দিন।

যমুনা সার কারখানার একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি যমুনা সার কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার থেকে মাত্রাতিরিক্ত নাইট্রোজেন নির্গত হতে থাকে। এই সমস্যা সমাধানে কারখানা কর্তৃপক্ষ এনজি বুস্টার ক্রয় ও পুনঃস্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইনগার্সল-রেন্ড (ইন্ডিয়া) লিমিটেডকে জানায়। গত রোববার কারখানা পরিদর্শনে আসে ইনগার্সল-রেন্ড কর্তৃপক্ষ। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার (সার্ভিস) ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম পরিদর্শন করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন ইনগার্সল-রেন্ডের টেরিটরি ম্যানেজার (সার্ভিস) মো. ইমামুল সর্দার এবং মার্কেটিং প্রতিনিধি কসমো মার্কেটিং কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম।

সূত্রটি আরও জানায়, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকার ওইদিন বিকেলে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শন করছিলেন। এ সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ‘ভুল বাটনে চাপ দেন’। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রথমে স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (এমটিএস) মো. আফাজ উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকার এনজি বুস্টার কমপ্রেসারের বিভিন্ন প্যারামিটার ঘুরে দেখছিলেন। পরিদর্শন চলাকালে গতকাল বিকেল পৌনে ৪টায় হঠাৎ অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের কমপ্রেসার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে।

ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে মো. আফাজ উদ্দিনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।