পাবনায় হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে স্কুল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মাহাতাব উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও নয়জনকে বেকুসল খালাস দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

গতকাল দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি এলাকার মন্টু প্রামাণিক, সাহেব মোল্লা ও নওজেস প্রামাণিক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিঘী গোহাইল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিহত মাহাতাব গংদের সাথে দন্ডপ্রাপ্তদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সকাল ১১টার দিকে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিরোধ মীমাংসার জন্য স্কুলে গেলে মীমাংসার এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে আহত মাহাতাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে গতকাল আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও নয়জনকে মামলা থেকে খালাস দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সনৎ কুমার সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটা একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ছিল। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, সনৎ কুমার সরকার আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

পাবনায় হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে স্কুল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মাহাতাব উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও নয়জনকে বেকুসল খালাস দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

গতকাল দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি এলাকার মন্টু প্রামাণিক, সাহেব মোল্লা ও নওজেস প্রামাণিক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিঘী গোহাইল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিহত মাহাতাব গংদের সাথে দন্ডপ্রাপ্তদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সকাল ১১টার দিকে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিরোধ মীমাংসার জন্য স্কুলে গেলে মীমাংসার এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে আহত মাহাতাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে গতকাল আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও নয়জনকে মামলা থেকে খালাস দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সনৎ কুমার সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটা একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ছিল। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, সনৎ কুমার সরকার আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।