মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মানেই দীর্ঘশ্বাসের এক নাম। ২০১৪ সালে কেবল নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল?্যান্ডকে হারিয়েছিল। এরপর প্রতি আসরে (২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০) অংশগ্রহণ করে খালি হাতেই ফিরেছে। তবে দৃঢ়চেতা বাংলাদেশ এবার শূন্য হাতে ফিরতে চায় না মোটেই।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হবে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে সালমা-জ্যোতিরা একটু আগেভাগেই দেশ ছাড়ছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘অনেকদিন আগে একটা ম্যাচ জিতেছি...। আমাদের চতুর্থ আর অন্যদের হয়তো এটা পঞ্চম বিশ্বকাপ। তো সবারই ইচ্ছে এবার যেন ওই রেকর্ডটা ব্রেক করি। যাদের সঙ্গে এবার খেলা, গ্রুপ পর্বে দুই তিনটা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। শুধু একটা মোমেন্টাম দরকার।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন জয় করতে খুলনায় নিবিড় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এই অনুশীলন কাজে দেবে বলে মনে করেন অধিনায়ক, ‘খুলনার উইকেট পেস বোলিং সহায়ক, ওটা দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক বেশি সাহায্য করবে। আপনারা জানেন আমরা ওখানে খুব ভালো উইকেট পাবো। স্পোর্টিং উইকেটই কিন্তু একটু বাউন্স থাকবে, যেটা ব্যাটেও খুব ভালো আসে। এই কারণেই খুলনায় যাওয়া। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো আমরা ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি। পেসের বিপক্ষে হয়তো ভুগতে হয়েছে কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য তা পরের খেলায় আমাদের সাহায্য করবে।’
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী ক্রিকেটাররা দারুণ পারফর্ম করেছে। ওই দলের চারজন ক্রিকেটার টি-২০ বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পেয়েছেন। যারা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। এই নবীন ক্রিকেটাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছে বাংলাদেশ, ‘ওরা ইতোমধ্যে ম্যাচ খেলেছে। আমাদের চেয়ে ওরা ভালো ছন্দে আছে। মারুফাকে দেখেছি নিয়মিত ভালো বল করেছে, নিউজিল্যান্ডেও ভালো পারফর্ম করেছে। দিশা তো ভালো করছে। সব মিলিয়ে যে চারজনকে নেয়া হয়েছে, সবাই ভালো করছে। যেহেতু ওরা ওখানে আছে, আমার কাছে মনে হয় একাদশে সুযোগ পেলে দলকে সাহায্য করতে পারবে। আমার কাছে এটাও মনে হয় ওরা যেহেতু ভালো করছে, তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিলে অনেক ভালো হবে।’
বিশ্বকাপের আগে ভালো প্রস্তুতির জন্য মেয়েদের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। আইসিসির অধীনে অনুশীলন শুরুর ১০ দিন আগেই তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হচ্ছে। নিজেদের খরচে অনুশীলনের পাশাপাশি ম্যাচও আয়োজন করছে তারা। মূল মঞ্চে নামার আগে ৪টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হবে। দুটি নিজেদের খরচে, বাকি দুটি আইসিসির আয়োজনে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সালমা-জ্যোতিরা। আইসিসির আয়োজনে ৬ ও ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত।বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া, ১৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে।
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৯ মাঘ ১৪২৯, ২৯ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মানেই দীর্ঘশ্বাসের এক নাম। ২০১৪ সালে কেবল নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল?্যান্ডকে হারিয়েছিল। এরপর প্রতি আসরে (২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০) অংশগ্রহণ করে খালি হাতেই ফিরেছে। তবে দৃঢ়চেতা বাংলাদেশ এবার শূন্য হাতে ফিরতে চায় না মোটেই।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হবে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে সালমা-জ্যোতিরা একটু আগেভাগেই দেশ ছাড়ছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘অনেকদিন আগে একটা ম্যাচ জিতেছি...। আমাদের চতুর্থ আর অন্যদের হয়তো এটা পঞ্চম বিশ্বকাপ। তো সবারই ইচ্ছে এবার যেন ওই রেকর্ডটা ব্রেক করি। যাদের সঙ্গে এবার খেলা, গ্রুপ পর্বে দুই তিনটা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। শুধু একটা মোমেন্টাম দরকার।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন জয় করতে খুলনায় নিবিড় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এই অনুশীলন কাজে দেবে বলে মনে করেন অধিনায়ক, ‘খুলনার উইকেট পেস বোলিং সহায়ক, ওটা দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক বেশি সাহায্য করবে। আপনারা জানেন আমরা ওখানে খুব ভালো উইকেট পাবো। স্পোর্টিং উইকেটই কিন্তু একটু বাউন্স থাকবে, যেটা ব্যাটেও খুব ভালো আসে। এই কারণেই খুলনায় যাওয়া। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো আমরা ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি। পেসের বিপক্ষে হয়তো ভুগতে হয়েছে কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য তা পরের খেলায় আমাদের সাহায্য করবে।’
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী ক্রিকেটাররা দারুণ পারফর্ম করেছে। ওই দলের চারজন ক্রিকেটার টি-২০ বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পেয়েছেন। যারা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। এই নবীন ক্রিকেটাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছে বাংলাদেশ, ‘ওরা ইতোমধ্যে ম্যাচ খেলেছে। আমাদের চেয়ে ওরা ভালো ছন্দে আছে। মারুফাকে দেখেছি নিয়মিত ভালো বল করেছে, নিউজিল্যান্ডেও ভালো পারফর্ম করেছে। দিশা তো ভালো করছে। সব মিলিয়ে যে চারজনকে নেয়া হয়েছে, সবাই ভালো করছে। যেহেতু ওরা ওখানে আছে, আমার কাছে মনে হয় একাদশে সুযোগ পেলে দলকে সাহায্য করতে পারবে। আমার কাছে এটাও মনে হয় ওরা যেহেতু ভালো করছে, তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিলে অনেক ভালো হবে।’
বিশ্বকাপের আগে ভালো প্রস্তুতির জন্য মেয়েদের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। আইসিসির অধীনে অনুশীলন শুরুর ১০ দিন আগেই তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হচ্ছে। নিজেদের খরচে অনুশীলনের পাশাপাশি ম্যাচও আয়োজন করছে তারা। মূল মঞ্চে নামার আগে ৪টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হবে। দুটি নিজেদের খরচে, বাকি দুটি আইসিসির আয়োজনে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সালমা-জ্যোতিরা। আইসিসির আয়োজনে ৬ ও ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত।বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া, ১৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে।