বিপিজিএমইএর ১৫তম প্লাস্টিক মেলা ২২ ফেব্রুয়ারি

তিন বছর পর এবার ৪ দিনব্যাপী প্লাস্টিক মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে এ মেলা শুরু হবে। এর আগের ২০১৯ সালে ১৪তম মেলার আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। করোনার কারণে সর্বশেষ তিন বছর মেলা বন্ধ ছিল। গতকাল পল্টনে বিপিজিএমইএর কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ। এসময় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি কেএম ইকবাল হোসেন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ এবং শাহেদুল ইসলাম হেলাল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা উদ্যোক্তা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এবারে মেলায় চীন, তাইয়ান, ভারত, ভিতেনাম, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানসহ মোট ১৯টি দেশের ৪৮০টি কোম্পানির ৭৮০টি স্টল বা বুথ থাকবে। যা আগের বছরের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। মেলায় মেশিনারীজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ অংশগ্রহণ করবে। মেলায় নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির সমাবেশ আগের চেয়ে ভালো থাকবে বলে আশা করছি। ১৫ ধরনের প্লাস্ট্রিকপণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেবে প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলা সরাসরি পণ্য অর্ডারের পাশাপাশি ৫ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ মেশিনারিজ পণ্য বিক্রির অর্ডার পাওয়া প্রত্যাশা মেলা কর্তৃপক্ষের। সভাপতি জানান, গত বছরের মতই এই বছরের মেলাতে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। অর্ডারও একরই রকম পাবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ডলার সংকটের কারণে প্লাস্টিকপণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারছি না। আর কিছুদিন এই অবস্থা পার হলে- প্লাস্টিকপণ্যের দাম আরও বেশি বাড়বে। পণ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্যাস ও বিদ্যুৎর দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্লাস্ট্রিক খাত। কারণ পণ্য উৎপাদনে ৫০ শতাংশ সময়ে প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। আরও কষ্টের বিষয় হচ্ছে- বেশি দাম দিয়েও নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

বিপিজিএমইএর ১৫তম প্লাস্টিক মেলা ২২ ফেব্রুয়ারি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

তিন বছর পর এবার ৪ দিনব্যাপী প্লাস্টিক মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে এ মেলা শুরু হবে। এর আগের ২০১৯ সালে ১৪তম মেলার আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। করোনার কারণে সর্বশেষ তিন বছর মেলা বন্ধ ছিল। গতকাল পল্টনে বিপিজিএমইএর কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ। এসময় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি কেএম ইকবাল হোসেন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ এবং শাহেদুল ইসলাম হেলাল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা উদ্যোক্তা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এবারে মেলায় চীন, তাইয়ান, ভারত, ভিতেনাম, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানসহ মোট ১৯টি দেশের ৪৮০টি কোম্পানির ৭৮০টি স্টল বা বুথ থাকবে। যা আগের বছরের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। মেলায় মেশিনারীজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ অংশগ্রহণ করবে। মেলায় নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির সমাবেশ আগের চেয়ে ভালো থাকবে বলে আশা করছি। ১৫ ধরনের প্লাস্ট্রিকপণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেবে প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলা সরাসরি পণ্য অর্ডারের পাশাপাশি ৫ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ মেশিনারিজ পণ্য বিক্রির অর্ডার পাওয়া প্রত্যাশা মেলা কর্তৃপক্ষের। সভাপতি জানান, গত বছরের মতই এই বছরের মেলাতে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। অর্ডারও একরই রকম পাবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ডলার সংকটের কারণে প্লাস্টিকপণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারছি না। আর কিছুদিন এই অবস্থা পার হলে- প্লাস্টিকপণ্যের দাম আরও বেশি বাড়বে। পণ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্যাস ও বিদ্যুৎর দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্লাস্ট্রিক খাত। কারণ পণ্য উৎপাদনে ৫০ শতাংশ সময়ে প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। আরও কষ্টের বিষয় হচ্ছে- বেশি দাম দিয়েও নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।