দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে আজ তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মতবিনিময় করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা অচিরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব। সে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন, সিইসি নন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সভা করবে। সভা করে আমরা তফসিলটা উন্মুক্ত করব, তখন আপনারা বিস্তারিত জানতে পারেন।’
সিইসি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সামনে রেখে আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ করতে হয়। সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকের সময় ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনিই হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন হবে।
সংসদ সদস্যদের ভোটে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাই সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকলে অধিবেশন ডাকতে হয়। সংসদের চলমান অধিবেশন শেষ হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার পর একক প্রার্থী হলে নির্বাচনেরও প্রয়োজন হবে না। একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদের বেশি কোন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ নেই। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আর এই পদে আসতে পারবেন না। তবে সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় তাদের পছন্দের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা নিশ্চিত।
সবশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এই পদে আর কোন প্রার্থী না থাকায় ৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন একমাত্র প্রার্থী মো. আবদুল হামিদকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হবে।
এবার ২৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।
বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে আজ তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মতবিনিময় করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা অচিরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব। সে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন, সিইসি নন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সভা করবে। সভা করে আমরা তফসিলটা উন্মুক্ত করব, তখন আপনারা বিস্তারিত জানতে পারেন।’
সিইসি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সামনে রেখে আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ করতে হয়। সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকের সময় ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনিই হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সংবিধানের ১২৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন হবে।
সংসদ সদস্যদের ভোটে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাই সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকলে অধিবেশন ডাকতে হয়। সংসদের চলমান অধিবেশন শেষ হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার পর একক প্রার্থী হলে নির্বাচনেরও প্রয়োজন হবে না। একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদের বেশি কোন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ নেই। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আর এই পদে আসতে পারবেন না। তবে সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় তাদের পছন্দের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা নিশ্চিত।
সবশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এই পদে আর কোন প্রার্থী না থাকায় ৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন একমাত্র প্রার্থী মো. আবদুল হামিদকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হবে।
এবার ২৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।