ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু তাদের নেতাদের মধ্যেই সীমিত। তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান নয়, বিএনপি গণ-আন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি।
গতকাল ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আজকে বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন, এটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ভূখ-ের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি, সেটি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ৯০-এর আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না। এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না। ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৭ এপ্রিল তারা পালন করে না। ১০ জানুয়ারি তারা পালন করে না। ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। এই ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান। আর তা হলো স্বাধীনতা।
আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও ছিল না। অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিলেন। এটা হলো বাস্তবতা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্তই নেবে, আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মেনে নেব।’
শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ।
১৯৬৯ সালের এই দিনে সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ জনতা মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ডক্টর শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের বেদি অবস্থিত।
গতকাল গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহীদ মতিউরের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের -সংবাদ
আরও খবরবুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪
ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গতকাল গণঅভ্যুত্থান দিবসে শহীদ মতিউরের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের -সংবাদ
বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু তাদের নেতাদের মধ্যেই সীমিত। তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান নয়, বিএনপি গণ-আন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি।
গতকাল ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আজকে বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন, এটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ভূখ-ের ইতিহাসে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি, সেটি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ৯০-এর আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য, আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না। এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না। ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৭ এপ্রিল তারা পালন করে না। ১০ জানুয়ারি তারা পালন করে না। ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। এই ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান। আর তা হলো স্বাধীনতা।
আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও ছিল না। অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিলেন। এটা হলো বাস্তবতা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্তই নেবে, আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মেনে নেব।’
শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ।
১৯৬৯ সালের এই দিনে সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সাধারণ জনতা মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ডক্টর শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের বেদি অবস্থিত।