ভোলার গ্যাস আসবে ফেব্রুয়ারিতে

নসরুল হামিদ

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে। তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কন্টেইনারে ভরে মূল ভূখন্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত করা হবে।’

বিশ্ববাজারে গ্যাসের চড়া দাম এবং দেশে সরবরাহ সংকটের মধ্যেই গত সোমবার ভোলা নর্থ-২ কূপে প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) জানায়, চূড়ান্ত উৎপাদন পরীক্ষা শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনের হার নির্ণয় করা হবে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে ভোলা নর্থ-২ কূপ খনন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম।

গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মাসে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে। যেটি জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করবে। আমরা সেইভাবেই ব্যবস্থা নেব। দাম বাড়বে কি-না তা এখন বলতে পারছি না। দাম কমতেও পারে।’

গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলার বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নিজস্ব গ্যাস কিছুটা বাড়িয়েছি। কিন্তু সেটি খুবই সামান্য। আমরা স্পট মার্কেট থেকে কিছু গ্যাস কেনার ব্যবস্থা করেছি। স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস আসবে। সেটি আসলে আমরা কিছুটা সাশ্রয় করতে পারব।’

শিল্প খাতে গ্যাসের দাম সমন্বয় করার কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ রাখা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া সার, সেচসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকারভিত্তিতে কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের জেলা প্রশাসকরা এসেছেন ও বিভাগীয় কমিশনাররাও ছিলেন। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রতি বলার ছিল, এই বছরটি আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতার। আপনারা জানেন, যে সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্নতা অপরিহার্য। আমি মনে করি, এ বছরটা সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হচ্ছে। সামনে আমাদের রোজার মাসও শুরু হবে। অনেক বিষয় আছে। বৈশ্বিক জ্বালানির যে অবস্থা, সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই জেলা ও বিভাগ অনুসারে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’ সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, তাই কৃষকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পেতে পারেন, সেদিকে নজর দেয়ার প্রতি জোর দেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্ব স্ব জেলা ও বিভাগীয় কমিশনাররা যাতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, সেই জন্য কমিটি করে দেয়া আছে। যেহেতু বছরটা চ্যালেঞ্জিং, আমাদের বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রাখা হয়েছে। যেমন- হাসপাতালে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেবা একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। একই সঙ্গে শিল্পকারখানা, সার কারখানা ও কৃষিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসব খাতগুলোতে যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সে বিষয়গুলো বলা হয়েছে।’

আরও খবর
সীমান্তে হত্যা বন্ধে দুই দেশই আন্তরিক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ
বিএনপির আন্দোলন দলটির নেতাদের মধ্যেই সীমিত
মগবাজারের ওয়্যারলেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ : ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’ ঘিরে সন্দেহ
পাঠ্যবইয়ে ভুল ইচ্ছাকৃত কি না, খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি : শিক্ষামন্ত্রী
পানির স্তর নেমেছে ৩৫ ফুট, যশোরে শুষ্ক মৌসুম শুরু না হতেই পানির জন্য হাহাকার
পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে সরকার : বিএনপি
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ঢাবির
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নিয়ে আসার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
নওগাঁর রক্তদহ বিলে ব্রিজের জন্য ভোগান্তি

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ভোলার গ্যাস আসবে ফেব্রুয়ারিতে

নসরুল হামিদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে। তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কন্টেইনারে ভরে মূল ভূখন্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত করা হবে।’

বিশ্ববাজারে গ্যাসের চড়া দাম এবং দেশে সরবরাহ সংকটের মধ্যেই গত সোমবার ভোলা নর্থ-২ কূপে প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) জানায়, চূড়ান্ত উৎপাদন পরীক্ষা শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনের হার নির্ণয় করা হবে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে ভোলা নর্থ-২ কূপ খনন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম।

গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মাসে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে। যেটি জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করবে। আমরা সেইভাবেই ব্যবস্থা নেব। দাম বাড়বে কি-না তা এখন বলতে পারছি না। দাম কমতেও পারে।’

গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলার বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নিজস্ব গ্যাস কিছুটা বাড়িয়েছি। কিন্তু সেটি খুবই সামান্য। আমরা স্পট মার্কেট থেকে কিছু গ্যাস কেনার ব্যবস্থা করেছি। স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস আসবে। সেটি আসলে আমরা কিছুটা সাশ্রয় করতে পারব।’

শিল্প খাতে গ্যাসের দাম সমন্বয় করার কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ রাখা চ্যালেঞ্জ। এছাড়া সার, সেচসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকারভিত্তিতে কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের জেলা প্রশাসকরা এসেছেন ও বিভাগীয় কমিশনাররাও ছিলেন। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রতি বলার ছিল, এই বছরটি আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতার। আপনারা জানেন, যে সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্নতা অপরিহার্য। আমি মনে করি, এ বছরটা সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হচ্ছে। সামনে আমাদের রোজার মাসও শুরু হবে। অনেক বিষয় আছে। বৈশ্বিক জ্বালানির যে অবস্থা, সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই জেলা ও বিভাগ অনুসারে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’ সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, তাই কৃষকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পেতে পারেন, সেদিকে নজর দেয়ার প্রতি জোর দেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্ব স্ব জেলা ও বিভাগীয় কমিশনাররা যাতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, সেই জন্য কমিটি করে দেয়া আছে। যেহেতু বছরটা চ্যালেঞ্জিং, আমাদের বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রাখা হয়েছে। যেমন- হাসপাতালে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেবা একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। একই সঙ্গে শিল্পকারখানা, সার কারখানা ও কৃষিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসব খাতগুলোতে যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সে বিষয়গুলো বলা হয়েছে।’