সেতুটি সংস্কার করুন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালের ওপর বছর তিনেক আগে তৈরি করা হয়েছিল একটি কাঠের সেতু। সেটি তৈরি করতে না করতেই এক মাসের মাথায় ভেঙে যায়। এরপর সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। জরাজীর্ণ সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

একটি এলাকার যাতায়াত-যোগাযোগে সেতুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু যদি যাতায়াত-যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় তাহলে একটি এলাকা আপনাতেই এগিয়ে যেতে পারে।

দেশের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো সু-বৃহৎ অবকাঠামো দেশে গড়ে উঠেছে। যার সুফল ইতোমধ্যে মানুষ পেতে শুরু করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে কোন পাকা সেতু তৈরি হয়নি। এখনও বাঁশ বা কাঠের সেতুই ভরসা। এসব এলাকায় সেতু নেই বলে মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারে না বলে ফসলের আবাদে লোকসান গুনতে হয়-এমন খবরও অনেক সময় গণমাধমে প্রকাশ পায়।

অনেক এলাকার ভেঙে পড়া সেতু দেখা যায় সময়মতো সংস্কার করা হয় না। জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকে। মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাতায়াত বা চলাচল করতে হয়। যেমন দেখা যায় বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার দাউরা চন্ডিপুর গ্রামের ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুর ক্ষেত্রে।

প্রয়োজন রয়েছে এমন অনেক স্থানেই পাকা সেতু তৈরি করা হয়নি। আবার প্রয়োজন নেই এমন অনেক স্থানে সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর দুই ধারে রাস্তা নেই, দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই; এমনকি বিরাণ ভূমিতেও সেতু তৈরি করতে দেখা গেছে।

আমরা বলতে চাই, যেখানে সেতুর প্রয়োজন সেখানে সেতু নির্মাণ করতে হবে। মানুষের যাতায়াতে যোগাযোগকে সহজ করেতে হবে। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার দাউরা চন্ডিপুর গ্রামের যে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে-এটিই আমরা দেখতে চাই।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

সেতুটি সংস্কার করুন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাউরা চন্ডিপুর সংযোগ খালের ওপর বছর তিনেক আগে তৈরি করা হয়েছিল একটি কাঠের সেতু। সেটি তৈরি করতে না করতেই এক মাসের মাথায় ভেঙে যায়। এরপর সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। জরাজীর্ণ সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

একটি এলাকার যাতায়াত-যোগাযোগে সেতুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুধু যদি যাতায়াত-যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় তাহলে একটি এলাকা আপনাতেই এগিয়ে যেতে পারে।

দেশের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো সু-বৃহৎ অবকাঠামো দেশে গড়ে উঠেছে। যার সুফল ইতোমধ্যে মানুষ পেতে শুরু করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে কোন পাকা সেতু তৈরি হয়নি। এখনও বাঁশ বা কাঠের সেতুই ভরসা। এসব এলাকায় সেতু নেই বলে মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারে না বলে ফসলের আবাদে লোকসান গুনতে হয়-এমন খবরও অনেক সময় গণমাধমে প্রকাশ পায়।

অনেক এলাকার ভেঙে পড়া সেতু দেখা যায় সময়মতো সংস্কার করা হয় না। জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকে। মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাতায়াত বা চলাচল করতে হয়। যেমন দেখা যায় বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার দাউরা চন্ডিপুর গ্রামের ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুর ক্ষেত্রে।

প্রয়োজন রয়েছে এমন অনেক স্থানেই পাকা সেতু তৈরি করা হয়নি। আবার প্রয়োজন নেই এমন অনেক স্থানে সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর দুই ধারে রাস্তা নেই, দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই; এমনকি বিরাণ ভূমিতেও সেতু তৈরি করতে দেখা গেছে।

আমরা বলতে চাই, যেখানে সেতুর প্রয়োজন সেখানে সেতু নির্মাণ করতে হবে। মানুষের যাতায়াতে যোগাযোগকে সহজ করেতে হবে। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার দাউরা চন্ডিপুর গ্রামের যে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে-এটিই আমরা দেখতে চাই।