ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জনে পদক্ষেপ নিন

প্লাস্টিক এমন একটি বর্জ্য পদার্থ যার কোন ধ্বংস নেই। এগুলো নিজেই মানবজীবনের ধ্বংসের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সারাবিশ্ব এই প্লাস্টিকের বর্জে সয়লাব। এ কারণে হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আজ জনজীবন। আইন করে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আমাদের বেশি দুর্বলতা থাকে।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আনা-নেয়ার জন্য পলেথিনের ব্যাগ যেন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস, যার কোন ধ্বংস নেই, নেই পচন। প্লাস্টিকে একধরনের রাসায়নিক মাইক্রোবিডস থাকে, যা সহজেই পরিবেশকে করে দূষিত। প্লাস্টিকের মাইক্রোবিডস মানবজীবন ও অন্য প্রাণীর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। যা পুড়িয়ে দিলেও মাইক্রো ও প্লাস্টিকের ধোঁয়ায় ভয়ঙ্করভাবে বায়ু দূষিত করে, ফলে ফুসফুসে এই বাতাস ঢুকে ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অতীতের দিকে তাকালে দেখতে পাই পাটের ব্যাগ বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহৃত হতো। তখন জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। প্লাস্টিকের প্রভাবে প্রাকৃতিক সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে। কারণ মাটির নিচে প্লাস্টিক চাপা পড়ে থাকলে সেখানে কোন গাছ জন্মায় না। কারণ মাটিতে চাপা পড়া ওই প্লাস্টিকে গাছের শিকড় আটকে যায়। পানি প্রবাহিত হয় না মাটির নিচে। সর্বোপরি বলা যায় যে, প্লাস্টিক শুধু যে মানবজীবনের ক্ষতি করে তা নয়, এটা প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে যা কিছু আছে তারও ক্ষতি করে মারাত্মকভাবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি উদ্যোগ নিন।

সাবিনা সিদ্দিকী শিবা

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জনে পদক্ষেপ নিন

প্লাস্টিক এমন একটি বর্জ্য পদার্থ যার কোন ধ্বংস নেই। এগুলো নিজেই মানবজীবনের ধ্বংসের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সারাবিশ্ব এই প্লাস্টিকের বর্জে সয়লাব। এ কারণে হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আজ জনজীবন। আইন করে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আমাদের বেশি দুর্বলতা থাকে।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আনা-নেয়ার জন্য পলেথিনের ব্যাগ যেন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস, যার কোন ধ্বংস নেই, নেই পচন। প্লাস্টিকে একধরনের রাসায়নিক মাইক্রোবিডস থাকে, যা সহজেই পরিবেশকে করে দূষিত। প্লাস্টিকের মাইক্রোবিডস মানবজীবন ও অন্য প্রাণীর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। যা পুড়িয়ে দিলেও মাইক্রো ও প্লাস্টিকের ধোঁয়ায় ভয়ঙ্করভাবে বায়ু দূষিত করে, ফলে ফুসফুসে এই বাতাস ঢুকে ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অতীতের দিকে তাকালে দেখতে পাই পাটের ব্যাগ বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহৃত হতো। তখন জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। প্লাস্টিকের প্রভাবে প্রাকৃতিক সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে। কারণ মাটির নিচে প্লাস্টিক চাপা পড়ে থাকলে সেখানে কোন গাছ জন্মায় না। কারণ মাটিতে চাপা পড়া ওই প্লাস্টিকে গাছের শিকড় আটকে যায়। পানি প্রবাহিত হয় না মাটির নিচে। সর্বোপরি বলা যায় যে, প্লাস্টিক শুধু যে মানবজীবনের ক্ষতি করে তা নয়, এটা প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে যা কিছু আছে তারও ক্ষতি করে মারাত্মকভাবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি উদ্যোগ নিন।

সাবিনা সিদ্দিকী শিবা