শাবিপ্রবিতে ভর্তি ফি কমানো হোক

সম্প্রতি গুচ্ছে লিড দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত শুক্রবার তাদের চূড়ান্ত ভর্তির নোটিশ দিলে হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কারণ বলতে গেলে বলা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়টি তেলের দামের অনুপাতে শিক্ষাবর্ষ (২১-২২) এর ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে ১৫,০০০ টাকা কিন্তু গত তিন বছরের ভর্তি (২০-২১) ছিল ৮,০৬০ টাকা (১৯-২০) ছিল ৭,০০০ টাকা এবং (১৮-১৯) ছিল ৫,৬০০ টাকা। উপরের তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্পষ্টতই গত শুক্রবারে প্রকাশিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তি ফি অর্থাৎ ১৫,০০০ টাকা করাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

এ অবস্থায় হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন একটিই প্রশ্ন-এক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয় ফি ৭,০০০ টাকা বাড়বে কিভাবে? আর এটাই শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কারণ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮০% থেকে ৯০% শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের জন্য এত বেশি টাকা জোগাড় করা কষ্টসাধ্য। তাছাড়াও দেশে এখন অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উচিত ছিল দেশের শিক্ষার্থীদর পাশে দাঁড়ানো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি বরং ভর্তি ফি বর্ধিত করে হাজারো শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক বিপাকে ফেলেছে।

এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের বাবা-মায়ের জোর দাবি বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহার করে গত বছরের মতো করে ফি নেওয়া হোক।

মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

শাবিপ্রবিতে ভর্তি ফি কমানো হোক

সম্প্রতি গুচ্ছে লিড দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত শুক্রবার তাদের চূড়ান্ত ভর্তির নোটিশ দিলে হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কারণ বলতে গেলে বলা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়টি তেলের দামের অনুপাতে শিক্ষাবর্ষ (২১-২২) এর ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে ১৫,০০০ টাকা কিন্তু গত তিন বছরের ভর্তি (২০-২১) ছিল ৮,০৬০ টাকা (১৯-২০) ছিল ৭,০০০ টাকা এবং (১৮-১৯) ছিল ৫,৬০০ টাকা। উপরের তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্পষ্টতই গত শুক্রবারে প্রকাশিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তি ফি অর্থাৎ ১৫,০০০ টাকা করাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

এ অবস্থায় হাজারো শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন একটিই প্রশ্ন-এক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয় ফি ৭,০০০ টাকা বাড়বে কিভাবে? আর এটাই শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের কারণ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮০% থেকে ৯০% শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যাদের জন্য এত বেশি টাকা জোগাড় করা কষ্টসাধ্য। তাছাড়াও দেশে এখন অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উচিত ছিল দেশের শিক্ষার্থীদর পাশে দাঁড়ানো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি বরং ভর্তি ফি বর্ধিত করে হাজারো শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক বিপাকে ফেলেছে।

এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের বাবা-মায়ের জোর দাবি বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহার করে গত বছরের মতো করে ফি নেওয়া হোক।

মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন