ট্রেনের ভাড়া না বাড়িয়ে দুর্নীতি কমান

সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ের অবস্থা বেহাল। ট্রেনের টিকিট অনলাইন বা কাউন্টারে না পেলেও ষ্টেশনের টং বা চা স্টলে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট মিলবে। ট্রেনে টিকিট কালোবাজারী বা যাত্রা পথে অবিক্রিত সীটগুলো পূরণ করতে রেলওয়ের কর্মচারীদের দৌড়ঝাপে সাধারণ যাত্রীরা অতিষ্ট। এমনিতে ট্রেনে কোন সেবা নেই তারপরও এই দুর্দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বিরতীহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা অমানবিক।

কর্তৃপক্ষের কি চমৎকার যুক্তি দীর্ঘদিন হতে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের চেয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বেশি নেয়া হতো বলেই এজন্য ভাড়া বাড়িয়ে তা সমন্বয় করা হয়েছে। অথচ দেশের সার্বিক উন্নয়নে রেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বৃটিশ আমলে এর জম্ম হলেও আজ অবদি এ প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি খাত হিসেবে চিহ্নিত। অথচ দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে রেলের গুরুত্ব অপরিসীম। চাহিদানুযায়ি বর্তমানে ট্রেনের বগির সংখ্যা আরো বাড়ানো দরকার।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিধী বাড়লেও দুর্নীতি কমেনি। ইতোমধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণীর ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে ৪০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচের ভাড়া ৬৩০ টাকার জায়গায় ৮০৫ টাকা, তারপর ভ্যাট যুক্ত। ট্রেনটির ¯িœগ্ধা এসি সিটের ভাড়া ৮০ টাকা এবং নন-এসি টিকিট ভাড়া ২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বলা বাহুল্য রেলওয়ের রাজস্বের অনেকাংশ রেলওয়ের কর্মচারীদের পকেটে যায়।

এখনও বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির পদ্ধতি সহজ এবং জনগণের চাহিদা পরিপূর্ণ করতে পারেনি। রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে এর রাজস্ব অনেকগুণ বেড়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আশাকরি, জনস্বার্থে ট্রেনের টিকিট ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য রেলপথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

ট্রেনের ভাড়া না বাড়িয়ে দুর্নীতি কমান

image

সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ের অবস্থা বেহাল। ট্রেনের টিকিট অনলাইন বা কাউন্টারে না পেলেও ষ্টেশনের টং বা চা স্টলে অতিরিক্ত টাকায় টিকিট মিলবে। ট্রেনে টিকিট কালোবাজারী বা যাত্রা পথে অবিক্রিত সীটগুলো পূরণ করতে রেলওয়ের কর্মচারীদের দৌড়ঝাপে সাধারণ যাত্রীরা অতিষ্ট। এমনিতে ট্রেনে কোন সেবা নেই তারপরও এই দুর্দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বিরতীহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা অমানবিক।

কর্তৃপক্ষের কি চমৎকার যুক্তি দীর্ঘদিন হতে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের চেয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বেশি নেয়া হতো বলেই এজন্য ভাড়া বাড়িয়ে তা সমন্বয় করা হয়েছে। অথচ দেশের সার্বিক উন্নয়নে রেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বৃটিশ আমলে এর জম্ম হলেও আজ অবদি এ প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি খাত হিসেবে চিহ্নিত। অথচ দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে রেলের গুরুত্ব অপরিসীম। চাহিদানুযায়ি বর্তমানে ট্রেনের বগির সংখ্যা আরো বাড়ানো দরকার।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিধী বাড়লেও দুর্নীতি কমেনি। ইতোমধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণীর ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে ৪০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচের ভাড়া ৬৩০ টাকার জায়গায় ৮০৫ টাকা, তারপর ভ্যাট যুক্ত। ট্রেনটির ¯িœগ্ধা এসি সিটের ভাড়া ৮০ টাকা এবং নন-এসি টিকিট ভাড়া ২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বলা বাহুল্য রেলওয়ের রাজস্বের অনেকাংশ রেলওয়ের কর্মচারীদের পকেটে যায়।

এখনও বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির পদ্ধতি সহজ এবং জনগণের চাহিদা পরিপূর্ণ করতে পারেনি। রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে এর রাজস্ব অনেকগুণ বেড়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আশাকরি, জনস্বার্থে ট্রেনের টিকিট ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য রেলপথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী